নজরবন্দি ব্যুরোঃ নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে ২৭ মে দিল্লি যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল সূত্রে খবর এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাট থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন তিনি হয়ত ২৭ মে বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যেতে পারেন। তবে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্র বিরোধী সুর চড়াতে চাইছে তৃণমূল। এই আবহেই এবার দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ অসুস্থতার যুক্তি দেখিয়েও মিলছে না তিহাড় মুক্তি, দিল্লির আদালতে খারিজ কেষ্টর আর্জি
কিন্তু আচমকা কে এমন সিদ্ধান্ত? শুধুই কি মোদী সরকারের বিরোধীতা? কারন এর আগে গত ১৫ মে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, পরিকল্পনা কমিশন ভালো ছিল। ‘নীতি আয়োগ’ বৈঠকে রাজ্যের কথা শোনা হয় না দাবি করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তবু বলেছিলেন, ‘বাংলার বঞ্চনার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতেই নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছি’। তবে বুধবার নিশ্চিত হলো তিনি আসছেন না।

গত ১৫ই মে আর ২৪ মে অর্থাৎ এই ৯ দিনের মধ্যে রাজ্যে ঘটে গিয়েছে একাধিক ঘটনা। কোন রক্ষা কবচ ছাড়াই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে মুখোমুখি হতে হয়েছে সিবিআই-এর। এখন পর্যন্ত কোন রক্ষা কবচ পাননি তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁর আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে অভিষেককে গ্রেফতার করা হতে পারে। পাশাপশি এগরা থেকে ভাঙড় একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে বাংলা। সব কিছু মিলিয়ে কার্যত কোণঠাসা মমতা বন্দোপাধ্যায়। বিরোধীদের দাবী এখন রাজ্য ছাড়লে তাঁর অনুপস্থিতিতে এই সব ঘটনাপ্রবাহের জল অনেকদূর গড়াতে পারে।
একটি যুবকের জন্যে লাখো যুবকের স্বপ্ন বলি দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, মমতাকে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর
এই পরিস্থিতিতেই মমতা বন্দোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন নিতী আয়োগের বৈঠকে না যাওয়ার অর্থ পরোক্ষে রাজ্যের ক্ষতি করা। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগে নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের এটাই শেষ বৈঠক হতে চলেছে। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী অনুপস্থিত থাকা মোটেই কাম্য নয়।
সুকান্তর কথায়, ‘একাধিক ইস্যুতে জেরবার মুখ্যমন্ত্রী ভয় পাচ্ছেন রাজ্য ছাড়তে, বিশেষত তাঁর অনুপস্থিতিতে যদি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই! কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায় ভুলে যাচ্ছেন অভিষেক আর ৫ জনের মতই ভারতবর্ষের একজন সাধারণ নাগরিক। তিনি যদি অন্যায় করে থাকেন তাহলে শাস্তি হবে, আর অন্যায় না করলে শাস্তির প্রশ্নই আসছে না। তদন্ত চলছে, সেটায় সহযোগীতা করাই উচিত। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী একজন যুবকের কথা ভেবে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ যুবকের স্বপ্ন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।’