শিয়রে সাইক্লোন রেমাল। রবিবার মধ্যরাতে বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মাঝে বাংলাদেশের মোংলার কাছে এটি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে জানালেন, সরকার সর্বোতভাবে মানুষের পাশে থাকবে।
আরও পড়ুন: কালীঘাটে বামেদের প্রচারে পুলিশের বাধা, মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় গণতন্ত্র নেই, সরব শায়রা-মীনাক্ষী
রেমালের পূর্বাভাসে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি বাতিল হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর রোড-শো ও সভা বাতিল হয়েছে। কর্মসূচি পিছিয়েছেন তৃণমূল সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সংক্ষেপে হলেও সোনারপুরে জনসভা করলেন।
এদিনের সভা থেকেই রেমাল আতঙ্ক নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, “এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলে আমাদের হাতে কিছু থাকে না। তবে, আপনারা ঘাবড়াবেন না। আমরা আপনাদের পাশে আছি। সাইক্লোনের কারণে লোডশেডিং হতে পারে। তা হলেও জেনারেটরের ব্যবস্থা রেখেছি। আপনারা এসি-টা শুধু চালাবেন না। উপকূলে প্রশাসনিকভাবে সমস্ত রকম সহায়তা করা হবে।”
শিয়রে সাইক্লোন রেমাল, পাশে থাকবে রাজ্য সরকার, আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। রাতে ধীরে ধীরে তা উপকূলের দিকে এগিয়েছে। তেমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামী ৬ ঘণ্টায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে বলছে হাওয়া অফিস। ল্যান্ডফলের সময় তার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার।
তবে আগামী ৬ ঘণ্টায় শক্তি এবং গতিবেগ দুই বাড়াবে সে। রুদ্রমূর্তি ধারণ করবে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দক্ষিণবঙ্গে প্রবল ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রবিবার এবং সোমবার লাল সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।