নজরবন্দি ব্যুরোঃ শুভেন্দুকে রুখতে ব্রম্ভাস্ত্র লক্ষণ! হ্যাঁ পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতিতে ফের একবার মুখোমুখি লড়াই হবে অধিকারী বনাম শেঠের। শুভেন্দু অধিকারীকে রুখতে লক্ষন শেঠ কে দলে নিতে পারে তৃণমূল। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই তৃণমূলের পতাকা হাতে নিতে চলেছেন লক্ষন শেঠ। একদা পূর্ব মেদিনীপুরের দোর্দোন্ডপ্রতাপ নেতা লক্ষন শেঠকে পরাজিত করেই ২০০৯ সালে সাংসদ হয়েছিলেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুনঃ বাড়ি থেকে পরীক্ষা নয়, রাজ্যে বাতিল হতে চলেছে মাধ্যমিক – উচ্চমাধ্যমিক।
আর এবার লক্ষন চাইছেন সেই গড় পুনরুদ্ধার করতে। পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক ময়দানে ফের কী দেখা যাবে শুভেন্দু অধিকারী বমান লক্ষণ শেঠের লড়াই? সম্ভাবনা তেমনই। নির্বাচনের আগে, গত ডিসেম্বর মাসেই তৃণমূলের বলিষ্ঠ মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সাথে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল লক্ষন শেঠ কে। কুণাল ব্যাপক প্রশংসা করেন লক্ষনের।
পরে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন নন্দীগ্রামে গুলি চালানো বা নন্দীগ্রাম কাণ্ডের নায়ক অধিকারীরা। কার্যত ঘুরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ক্লিন চিট পেয়েছিলেন প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদ। তারপরেই রাস্তা খুলে যায়।
শুভেন্দুকে রুখতে ব্রম্ভাস্ত্র লক্ষণ! লক্ষন শেঠ অনেকদিন থেকেই চেষ্টা করছিলেন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্যে, শুভেন্দু অধিকারীর জন্যেই সেটা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এখন পথ পরিষ্কার। তৃনমূলও চাইছে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে। এদিকে কি বলছেন খোদ লক্ষন? তাঁর কথায়, “আমি তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছি। তবে তৃণমূলের কারও সঙ্গে এবিষয়ে কথা হয়নি। তাছাড়া তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে কোনও লিখিত আবেদন করিনি।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়ষী প্রশংসা করে লক্ষন বলেন, “বর্তমান ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রের পঠভূমিতে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় যে কাজ করছেন তা সঠিক ও প্রাসঙ্গিক। সেই কারণে আমি তৃণমূলে যোগদান করতে ইচ্ছুক। এবার নেবেন কিনা নেতৃত্বের ব্য়াপার।”