নজরবন্দি ব্যুরোঃ বিধানসভা ভোটের আগে যাঁরা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, ঠিক একই ভাবে আগে পরে তাঁরা ফের ফিরে আসছেন সেই তৃণমূলে। মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরার পর থেকে সেই তালিকা লম্বা হচ্ছে ক্রমশ। বিষ্ণুপুর- বাগদা- কালিয়াগঞ্জের বিধায়করা একে একে ফিরে এসেছেন ঘাসফুল শিবিরে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে একই লাইন ধরে এবার পুরানো দলে ফিরছেন রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণী। পার্টি অফিস থেকে মোদি শাহের ছবি সরানোতে জল্পনা বেড়েছে আরও কয়েকগুন।
আরও পড়ুনঃ কাটমানি না দেওয়ার আবেদন প্রাপকদের, শুরু হল ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প।
বিজেপি বিধায়কের তৃণমূলে ফেরার প্রেক্ষিতে যুক্তি ঊঠে এসেছে বেশ কয়েকটি। গত কয়েকদিনে দলের বিরুদ্ধে, বিজেপি নেতা নেত্রীদের বিরুদ্ধে একাধিক বার সরব হয়েছেন তিনি। দিন কয়েক আগেই সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেছিলেন তিনি, বলেছিলেন, ‘রায়গঞ্জ থেকে বিধানসভা ভোটে টিকিট চেয়েছিলেন দেবশ্রী চৌধুরী। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়েও নাকি ছিলেন দেবশ্রী চৌধুরী। এখন শুনছি, রাজ্য বিজেপির সভাপতি হবেন দেবশ্রী চৌধুরী। দেবশ্রী চৌধুরী রাজ্য সভাপতি হলে ১০ বিধায়কও বিজেপিতে থাকবে না।’
এমনকি রায়গঞ্জের অশোকপল্লির পেট্রল পাম্পের পাশেই কৃষ্ণ কল্যাণীর যে পার্টি অফিস আছে সেখান থেকে সরানো হয়েছিল দেবশ্রী চৌধুরির ছবি। তা ছাড়াও জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারকে পদ থেকে সরানোর দাবিতে কার্যত সরব হয়েছিলেন। তাঁর একের পর এক মন্তব্যে গত কয়েকদিনে বেশ অস্বস্ত্বিতে আছে সেখানের বিজেপি নেতৃত্ব। এই মূহুর্তে তিনি রয়েছেন কলকাতায়, তবে বিধায়কের অনুপস্থিতিতেই তাঁর পার্টি অফিসের মুখে থাকা মোদি-শাহের ছবি সরে গিয়েছে। আর তা থেকেই জল্পনা বেড়েছে কয়েকগুন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের মনস্থির পাকা হতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক।
কৃষ্ণের ঘাসফুলে আসা সময়ের অপেক্ষা! বিতর্ক বাড়িয়ে পার্টি অফিস থেকে সরলো মোদি-শাহের ছবি
তবে কলকাতায় বসে রায়গঞ্জের ছবি সরার ঘটনায় তিনি জানিয়েছেন, “আমি কলকাতায় রয়েছি। তবে রায়গঞ্জের অফিসে কি হয়েছে, সেটা আমি জানি না। কয়েকটি ফ্লেক্স নষ্ট হয়ে যাওয়ায় হেলে গিয়েছে। তাই হয়তো সরানো হয়েছে। রায়গঞ্জে ফিরে যা বলার বলব।” যদিও উড়িয়ে দেননি দলত্যাগের জল্পনা। সরাসরি হ্যাঁ বা না কোনটাই বলেননি। তৃণমূলে ফেরা প্রসঙ্গ জল্পনা জিইয়ে রেখে কৃষ্ণের বানী, যা বলার সময় এলে বলবো।