নজরবন্দি ব্যুরো: কর্ণাটকে ক্ষমতায় আসার পর শপথ গ্রহণের এক সপ্তাহের মধ্যেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। গত ২০ জুন সিদ্দারামাইয়া, ডিকে শিবকুমার সহ ১০ জন শপথ নিয়েছিলেন। শনিবার (২৭ মে) বিধানসৌধ ভবনে রাজ্যপাল থাবরচন্দ গহলৌতের কাছে শপথ পাঠ করলেন আরও ২৪ জন মন্ত্রী। সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় ঠাই পেলেন না বিজেপি থেকে আসা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সভাড়ী।
আরও পড়ুন: অশনি সঙ্কেত! নিয়ন্ত্রণরেখার পাশেই গ্রাম বানাচ্ছে চিন
কর্ণাটকে বিধানসভার আসন সংখ্যা ২২৪। পরিষদীয় বিধি মেনে ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ৩৪ জন মন্ত্রী হতে পারেন। গত শনিবার (২০ মে) ১০ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছিলেন। বাকি ছিল আর ২৪ জন। শনিবার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল। শপথ নেওয়া ২৪ মন্ত্রীর ২৩ জনই বিধায়ক বা বিধান পরিষদের সদস্য। কংগ্রেস হাইকমান্ডের ঘনিষ্ট এনএস বোসেরাজু এক মাত্র ব্যতিক্রম। নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম চূড়ান্ত করতে দিল্লি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার। শুক্রবার সকালে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সঙ্গে আলোচনার পর মন্ত্রীদের নাম চূড়ান্ত হয় বলে খবর।
সূত্রে খবর, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া অর্থ, মন্ত্রি পরিষদ বিষয়ক, আমলাতন্ত্রের মত গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলি নিজের কাছে রেখেছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারকে সেচ ও বেঙ্গালুরু উন্নয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রবীণ বিধায়ক এইচ কে পাটিল পেয়েছেন জলসম্পদ, কৃষি, আইন ও সংসদীয় বিষয়ের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়ন এবং পঞ্চায়েত রাজের দায়িত্ব। পাঁচ বারের বিধায়ক কৃষ্ণা বায়রে গৌড়াকে গ্রামীণ উন্নয়ন ও পঞ্চায়েত দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শনিবার শপথ নেওয়া মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ গুন্ডু রাও, রাহুল গান্ধীর ‘ঘনিষ্ঠ’ কর্নাটক যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি কৃষ্ণা বায়রে গৌড়া, শিবকুমার অনুগামী মহিলা কংগ্রেস নেত্রী লক্ষ্মী হেব্বলকর, প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এসআর বঙ্গারাপ্পার ছেলে মধু, প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি এশ্বর খান্ডারে। নতুন মন্ত্রিসভায় রাজ্যের একাধিক প্রাক্তন মন্ত্রী জায়গা করে নিয়েছেন।
সিদ্দারামাইয়ার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ, কে কোন দায়িত্ব পেলেন?
