নজরবন্দি ব্যুরোঃ গ্রীষ্মকালের তুলনায় বসন্ত ও শীতকালে বেড়ে যায় স্ট্রোকের প্রবণতা। খাতায় কলমে শুরু না হলেও শীতের আমেজ বেশ শুরু গিয়েছে। পৌষ আসার আগে অগ্রহায়ণের শুরুতেই বেশ জাঁকিয়ে শীত বসতে শুরু করেছে। বিশেষত উত্তর ভারতে ইতিমধ্যে পুরোপুরি কনকনে হাওয়া বইছে। তাছাড়া বিগত দুই বছর ধরে বিশ্ববাসী যেখানে ভাইরাসকে পরাজয় করার চেষ্টা করছে সেখানে শীতকালে অসুস্থতা হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়। আবার তাপমাত্রার পারদ কমার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বায়ু দূষণের মাত্রাও।
আরও পড়ুনঃ সংসার পাতলেই মিলবে ২৫ লক্ষ টাকা! কিন্তু কিভাবে আর কোথায়?
শীতে শুধু প্রকৃতির পরিবর্তন হয় তাই নয়, শরীরেও বহু পরিবর্তন সাধিত হয়। প্রকৃতিতে তাপমাত্রার ওঠানামার সঙ্গে দেহেও তাপমাত্রার প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে শীতকালে, ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে থাকা রক্তনালী সংকোচনের ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। স্ট্রোকের অন্যতম কারণ এই উচ্চ রক্তচাপ। এদিকে প্রচণ্ড ঠান্ডায় আবার রক্ত গাঢ় হয়ে কিছুটা চিটচিটে হয়ে যায়। এর ফলে বেড়ে যায় রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনাও। এই রক্ত জমাট বাঁধার কারণেও স্ট্রোক হয়। এ ক্ষেত্রে রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধার ফলে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটায় স্ট্রোক হয়।

শীতকালে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা: বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে প্রতি বছর ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন এবং তাঁদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের স্ট্রোক সম্পর্কিত রোগ হতে দেখা যায়। আর বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালেই এই স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে!
শীতকালে কী কারণে হার্ট স্ট্রোক হয়?: স্ট্রোকের প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি হল ঠান্ডা আবহাওয়ায় রক্তের ধমনীর সংকোচন, যা রক্তচাপ বাড়ায় এবং সারা শরীরে রক্ত পাম্প করার জন্য হার্টকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়, ফলে স্ট্রোক হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে।
কোভিড এবং হার্টের রোগ: কোভিডের পরে হার্টের রোগের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এমনকী কিছু ক্ষেত্রে বলা হয় যে কোভিডের জন্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে গিয়েছে। কোভিড রোগীদের রক্তনালীতে পরিবর্তন হওয়ার কারণেও আবার স্ট্রোক হতে দেখা যায়। আবার গুরুতর কোভিড সংক্রমণে আক্রান্ত কিছু রোগীর রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনাও বেড়েছে।
শীতে বাড়তেই বেড়ে যায় স্ট্রোকের প্রবণতা, কীভাবে ভাল থাকবেন? সাবধান হন এখনই
কোভিডের ঝুঁকি, শীতকাল এবং দূষণ: শীতের প্রথম দিকে কোভিড হলে স্ট্রোকের ঝুঁকি আরও মারাত্মক হয়। সেক্ষেত্রে যে সমস্ত রোগীদের ইতিমধ্যেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো শারীরিক সমস্যা রয়েছে বা যাঁদের বয়স ৬৫ বছরের বেশি তাঁদের ঝুঁকির সম্ভাবনাও বেশি।