নজরবন্দি ব্যুরোঃ আবার দিঘাতে মৎস্যজীবীর জালে ধরা পড়ল বিশালাকার তেলিয়া ভোলা। মাছ বিক্রি করে রাতারাতি লাখপতি হলেন মাছ ব্যবসায়ী। একটি মাছ বিক্রি করেই ১৩ লাখ টাকা পেলেন তিনি। রবিবার দিঘা মোহনায় মৎস্য নিলাম কেন্দ্র থেকে মাছ কিনতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। মূলত এই মাছটির এত দাম হওয়ার কারণ হল এই মাছের পেটের মধ্যে থাকা পটকা। যা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি জিনিসপত্র তৈরি হয়। অস্ত্রোপচারের পর সেলাইয়ের কাজ ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে, ৬ বছর পর ভুল স্বীকার, হাইকোর্টে ফের মুখ পুড়ল কমিশনের।
মাছটির নিলাম শুরু হওয়ার পর প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে দরদাম। অবশেষ ২৬ হাজার টাকা কেজি দরে ১৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছে তেলিয়া ভোলা মাছটি। রবিবার দিঘা মোহনা বাজারে এই তেলিয়া ভোলা নিলামে বিক্রির জন্য আনেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার নৈনানের মৎস্যজীবী শিবাজী কবীর।
মাস কয়েক আগেই ১২১টি তেলিয়া ভোলা বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি হয়েছিলেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। কিন্তু সেগুলির প্রত্যেকটি বিক্রি হয়েছিল প্রতি কেজি ১০-১৫ হাজার টাকায়। এবার এই ১৩ লাখি মাছ বিক্রি বিষয়ে ‘দিঘা ফিসারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর অন্যতম কর্তা নবকুমার পয়ড়্যার কথায়, পূর্ব ভারতের সব থেকে বড় নোনা মাছের মৎস্য নিলাম কেন্দ্র রয়েছে দিঘা মোহনায়। একটি ৫৫ কেজি ওজনের তেলিয়া ভোলা মাছ নিয়ে ব্যাপক দর কষাকষি চলেছিল দিনভর।’
‘কয়েক ঘণ্টার নিলামের পর শেষ পর্যন্ত সেটি বিপুল টাকাতে কিনে নিয়েছেন এসএসটি নামের একটি সংস্থা। তিনি আরও জানান, এই রকম বড় আকারের তেলিয়া ভোলা বছরে দু’-তিনটে ধরা পড়েই। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নৈনানের মৎস্যজীবী শিবাজী কবীর রবিবার দিঘা মোহনা বাজারে এই তেলিয়া ভোলা নিলামে বিক্রির জন্য আনেন। আড়ৎদার কার্তিক বেরা জানিয়েছেন, ৫৫ কেজির এই স্ত্রী তেলিয়া ভোলা মাছটি বিক্রির সময় ডিমের জন্য পাঁচ কেজি ওজন বাদ যায়।
৫৫ কেজির তেলিয়া ভোলা বিক্রি হল ১৩ লক্ষ টাকায়, ভাগ্যের চাবি পেলেন নৈনানের শিবাজী।
তারপর মাছটির নিলাম শুরু হলে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে দরদাম । শেষ পর্যন্ত ২৬ হাজার টাকা কেজি দরে ১৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছে মাছটি। তিনি এও বলেন, এই তেলিয়া ভোলা মাছটি পুরুষ হলে দাম আরও বেশি হত। ছ’দিন আগেই এই দিঘা মোহনা বাজারেই ৩০ কেজির একটি পুরুষ তেলিয়া ভোলাই ন’লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছে।