নজরবন্দি ব্যুরোঃ শুক্রবার বিকেল ৫ টা অবধি চলল হিমাচল প্রদেশের নির্বাচন। শীতের শুরুতে হিমাচলের নির্বাচনে ক্ষমতা বদলের আশায় নেমেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াই বিজেপির। তবে প্রতিবার যেখানে ক্ষমতার বদল হয়েছে, সেখানে কী এবার বিরোধীদের সম্ভাবনা রয়েছে? প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুনঃ SSC-TET Scam: অন হোক অথবা অফলাইন, সবেতেই বেলাগাম দুর্নীতি, নজর পড়েছে ইডির
মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের কাজ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবিকে সামনে রেখেই এবারের নির্বাচনে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। ২০১৭ সালে ৭৪.৬ শতাংশ ভোট পড়েছিল নির্বাচনে। সেবার সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। এবারেও ডবল ইঞ্জিন সরকার গরতে চায় গেরুয়া শিবির।

হিমাচল প্রদেশে মুখোমুখি লড়াই কংগ্রেস বনাম বিজেপি। অন্যান্যবারের তুলনায় এবারে দলের টিকিট বন্টন আগের থেকে অনেক স্বচ্ছতা রেখেই করা হয়েছে বলে দাবি করছে কংগ্রেস। প্রাক্তন বর্ষীয়ান নেতা বীরভদ্র সিংয়ের স্ত্রী প্রতীভা সিং এবং ছেলে বিক্রমাদিত্য সিংকে প্রার্থী করেছে দল।
হিমাচল প্রদেশের নির্বাচন জেপি নাড্ডার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি গড়ে কী গেরুয়া শিবিরে ভাঙন ধরবে? অন্যদিকে, একাধিক র্যালির মাধ্যমে জনমত আদায়ের চেষ্টা করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। তবে হিমালয়ের কোলে হিন্দুত্বের আবহ তুলে বিজেপির দাপট অক্ষুন্ন রাখার চেষ্টা করেছেন যগী আদিত্যনাথরা।
জেপি নাড্ডার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ, বিরাট ছক কষেছে বিরোধীরা

হিমাচল প্রদেশের নির্বাচন এবার জাতীয় রাজনীতিতে বিরাট ফ্যাক্টর হতে পারে। কারণ, সম্প্রতি একাধিক রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী হাওয়া উঠলেও সেখানে কংগ্রেসের অস্তিত্ব নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। পাঞ্জাবে ক্ষমতায় থাকার পরেও ক্ষমতা হারা হয়েছে দেশের সবচেয়ে পুরাতন দল। তার ওপর নরেন্দ্র মোদির গুজরাতেও সেভাবে সক্রিয় হচ্ছে না তাঁরা। কংগ্রেসের বদলে দাপট বাড়ছে আম আদমি পার্টির। ফলত, হিমাচল প্রদেশের নির্বাচন তাঁদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জিং।