Calcutta High Court: ১৬৯৮ চাকরি নিয়ে টানাপোড়েন, বেজায় চটলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু

Calcutta High Court: ১৬৯৮ চাকরি নিয়ে টানাপোড়েন, বেজায় চটলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু
Justie Basu on illegal teachers appointment

নজরবন্দি ব্যুরোঃ ওএমআর শিটে এক নম্বর পাননি। অথচ বহাল তবিয়তে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ভুয় শিক্ষাকর্মী। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এমনটাই অভিযোগ করল সিবিআই। সেই তথ্য হাতে পেতেই বিরাট পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। অবিলম্বে অভিযুক্তদের বের করে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ১৬৯৮ চাকরি নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ Covid Update: উৎসবের মাঝে ফের করোনার বাড়বাড়ন্ত, বৈঠকে একাধিক কড়া পদক্ষেপের পথে মুখ্যমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে চলে মামলার শুনানি। সিবিআইয়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়, মোট ১৬৯৮ জনকে বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে। অথচ উত্তরপত্রে তাঁদের নম্বর দেখে চোখ কপালে ওঠার মতোই। সিবিআইয়ের আইনজীবীর এই বক্তব্য শুনেই কার্যত ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিচারপতি। তিনি বলেন, চিৎকার করে বলুন, যাতে সবাই শুনতে পায় শূন্য পেয়ে চাকরি করছে।

১৬৯৮ চাকরি নিয়ে টানাপোড়েন, বিরাট পদক্ষেপ নিতে চলেছে হাইকোর্ট
১৬৯৮ চাকরি নিয়ে টানাপোড়েন, বিরাট পদক্ষেপ নিতে চলেছে হাইকোর্ট

এরপরেই বিচারপতির নির্দেশ এদিন বিকেল ৩ টের মধ্যে জানাতে হবে ভুয়ো শিক্ষকরা কোন স্কুলে কর্মরত। তাঁদের বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে হবে। একইসঙ্গে ওই সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে ওই শিক্ষকরা স্কুলে প্রবেশ করতে না পারে। তাঁর বক্তব্য, না জানি এত দিনে স্কুলের কী হাল এঁরা করে রেখেছেন।

একইসঙ্গে বিচারপতি বলে বসেন, বেআইনিভাবে যাদের নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা কতদিন ধরে চাকরি করছেন? তা হিসেব করে দেখুক শিক্ষা দফতর। এখনও অবধি যত টাকা বেতন দেওয়া হয়েছে, সব ফেরত নেওয়া হবে। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল, এত জনের তথ্য এত কম সময়ে জোগাড় করা সম্ভব নয়। এরপরেই বিচারপতি বলে বসেন, ডিজিটালের যুগে সবকিছু সম্ভব। এরা যাতে একদিনও না কাজ করতে পারেন সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

১৬৯৮ চাকরি নিয়ে টানাপোড়েন, বিরাট পদক্ষেপ নিতে চলেছে হাইকোর্ট

১৬৯৮ চাকরি নিয়ে টানাপোড়েন, বিরাট পদক্ষেপ নিতে চলেছে হাইকোর্ট
১৬৯৮ চাকরি নিয়ে টানাপোড়েন, বিরাট পদক্ষেপ নিতে চলেছে হাইকোর্ট

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে এর আগে একাধিকবার নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একাধিক মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। ভুয়ো নিয়োগ নিয়ে তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এবার তাদে চাকরি বাতিল নিয়ে পদক্ষেপ নিতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্ট।