নজরবন্দি ব্যুরোঃ করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ভেসে যাওয়ার উপক্রম পশ্চিমবঙ্গের। গতকাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের জন্যে আশঙ্কার কথা শোনানো হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, সংক্রমনের হারে দেশে প্রথম স্থানে বাংলা। যা অত্যন্ত খারাপ ইঙ্গিত। তারমধ্যেই হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা।
আরও পড়ুনঃ ‘করোনা আমাদের নয়, পাপীদের হয়’, পুলিশ মাস্ক পরানোয় বিরক্ত পুণ্যার্থীরা!
মেলায় সঠিকভাবে কোভিড বিধি পালন হচ্ছে কিনা তার জন্যে নজরদারি কমিটি গড়েছে হাইকোর্ট। যেখানে চেয়ারপার্সন হিসাবে আছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির এক সদস্য। সেই কমিটি তাঁর কাজ শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু সূত্রের খবর, গঙ্গাসাগর মেলার পরিকাঠামো নিয়ে অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি।
গঙ্গাসাগর পরিদর্শন করে রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট দিল হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি। পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে কমিটির সন্দেহ, গঙ্গাসাগর মেলা সুপার স্প্রেডার হতে পারে। সেই রিপোর্ট পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। করোনা পরিস্থিতিতে সব বিধি মেনে মেলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে কি না। তা খতিয়ে দেখেছে কমিটি। সেই ব্যাবস্থাপনা মোটেই সুখকর নয় বলে জানা গেছে।
কমিটির রিপোর্ট পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। গতকাল রাত থেকেই কিভাবে মেলা চালু রাখা যায় তা নিয়ে চলছে দফায় দফায় বৈঠক। কারন হাই কোর্ট নিযুক্ত কমিটি যদি মনে করে, মেলায় নিয়ম লঙ্ঘন করা হচ্ছে, তা বন্ধ করতে হবে সাথে সাথেই। অন্যদিকে আজ সন্ধেয় গঙ্গারতির আয়োজন করা হয়েছে। আগামীকাল রাত থেকে শুরু হবে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান।
গঙ্গাসাগর মেলা সুপার স্প্রেডার হতে পারে, অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি

সব মিলিয়ে সবার নজর গঙ্গাসাগরে। সংক্রমণ মোকাবিলায় নজরদারি চালাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। বিনা মাস্কে দেখলেই সতর্ক করা হচ্ছে। চলছে মাইকে প্রচার। কপিল মুনির আশ্রম, মেলা চত্বর মাঝেমধ্যেই স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। লকগেট তৈরি করে মন্দির চত্বরে প্রতিবারে ৫০ জন করে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত গঙ্গাসাগর মেলা সুপার স্প্রেডারের তকমা পায় কিনা। কথায় বলে… ‘সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার।’