নজরবন্দি ব্যুরো: অবশেষে আজ ঘোষিত হল গুজরাটের বিধানসভার সময়সূচি। আজ দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমার জানান, গুজরাটে দুই দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মুখ্য নির্বাচক কমিশনার রাজীব কুমার জানান, গুজরাটে প্রথম দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন হবে ৫ ডিসেম্বর। ভোট গণনা ৮ ডিসেম্বর। সেদিনই ভোটগণনা হবে হিমাচল নির্বাচনেরও।
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের পারিবারিক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী-রজনীকান্ত সাক্ষাৎ, মাদল বাজালেন মমতা
এদিন সাংবাদিক বৈঠকেও মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি গুজরাত বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে। তার ১১০ দিন আগে সেখানে ভোট করানো হচ্ছে। সুতরাং দেরি হচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠছে তা ঠিক নয়। গত ১৪ অক্টোবর হিমাচল প্রদেশের ভোট ঘোষণা করেছে কমিশন। প্রত্যাশা ছিল সেদিনই গুজরাটের ভোটের দিনক্ষণও জানিয়ে দেওয়া হবে।
কিন্তু কমিশন সে পথে না হেঁটে সেদিন শুধু হিমাচল প্রদেশের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে। আগামী ১২ নভেম্বর এক দফায় ভোটগ্রহণ হবে হিমাচল প্রদেশের ৬৮ আসনে। পাহাড়ি এই রাজ্যটির ভোটের ফলাফল ঘোষণাও ৮ ডিসেম্বরই। প্রথাগতভাবে গুজরাট এবং হিমাচলের ভোট আলাদা আলাদাভাবে ঘোষণা করা হলেও দুই রাজ্যে ফলফল ঘোষণা একসঙ্গেই হয়। এবারেও সেই রীতি বজায় রেখেছে কমিশন।

১৮২ আসন বিশিষ্ট গুজরাট বিধানসভায় গত ২৭ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। এই মুহূর্তে সে রাজ্যে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১১১। বিরোধী কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ৬২। শেষবার গুজরাটে ভোট হয় ২০১৭ সালে। সেবার বিজেপিকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিল কংগ্রেস। ২০১৭ সালে বিজেপি জিতেছিল ৯৯টি আসন।
মোদীর রাজ্যে ডিসেম্বরে নির্বাচন, ঘোষণা কমিশনের
আর কংগ্রেস আশির কাছাকাছি পৌঁছে যায়। তারপর অবশ্য কংগ্রেস অনেক দুর্বল হয়েছে। একে একে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসের ১৭-১৮ জন বিধায়ক। হার্দিক প্যাটেল, অল্পেশ ঠাকোরদের মতো তরুণ নেতারাও এখন বিজেপিতে। তার উপরে আম আদমি পার্টির এন্ট্রি গুজরাট রাজনীতিতে ধারেভারে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে বিজেপিকে।