নজরবন্দি ব্যুরো: সকলের অপেক্ষায় অবসান ঘটিয়ে মর্ত্যলোকে আসছেন আগমনী। আর আগমনীর আগমনে চারিদিকে খুশির আমেজ। দুর্গাপুজো মানেই আড্ডা, খাওয়া, ঘোরা ঘুরি আর অজানা পুজোর গল্প! অজানা পুজোর কাহিনী শুনতে সকলের এই ভালো লাগে। একাধিক জায়গায় নানান ভাবে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী দুর্গা। দেবীর একাধিক রূপের কাহিনী নিয়েই আমাদের আজকের আর্টিকেল।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে উপকূলে জারি হলুদ সতর্কতা, কড়া নজরদারি বকখালি-গঙ্গাসাগরে
বনেদি বাড়ির পুজো মানেই ঐতিহ্য আর সাবেকিয়ানা। সঙ্গে ইতিহাসের পাতায় স্মৃতির ডুব। নানান গল্প, কিংবদন্তী আর ইতিহাস। মণিমুক্তোর মতো প্রতিটি বনেদি বাড়ির অলিন্দে ছড়িয়ে আছে। সেইরকমই একটি বনেদি বাড়ির পুজো হল হাওড়ার মাকড়দহ শ্রীমানি পাড়ার শ্রীমানি বাড়ির পুজো। এই বাড়িতে দেবী দুর্গা দশভূজা হয়ে আসেন না। বরং দেবী আসেন স্বামী শিবের সঙ্গে হরগৌরী রূপে।
জানা গিয়েছে, শ্রীমানি বাড়িতে পুজো শুরু হয়েছিল ১৯১৮ সালে। এই বাড়ির পূর্বপুরুষ বিশ্বনাথ শ্রীমানি ও হরিপদ শ্রীমানি দুই ভাই তখন সবে উঠতি ব্যবসায়ী। এমন সময় এক ভোরে বাড়ির বড় ছেলে বিশ্বনাথ শ্রীমানির প্রথম পক্ষের স্ত্রী বাড়ির সদর দরজা খুলে ঝাট দিতে গিয়ে দেখেন বাড়ির সদর দরজার সামনে বসানো দেবী প্রতিমার কাঠামো। এরপরই হই হই পরে গেল গোটা বাড়ি জুড়ে। সাক্ষাৎ দেবী নিজেই চান তাঁর পুজো হোক বাড়িতে এইভেবে বাড়ির বড় ছেলে সেই কাঠামো নিয়ে আসেন বাড়ির ভিতরে।
এরপরে সেই কাঠামো অনুযায়ী মৃৎশিল্পীদের দিয়ে প্রতিমা গড়ালে তা রূপ নেয় হরগৌরীর।সেই থেকেই হরগৌরী রূপেই দেবী দুর্গা পুজিত হয়ে আসছেন এখানে। প্রচলিত আছে, একসময় এক মণ চালের সঙ্গে একশো নারকেলের তৈরি খাবার ও মনোহরা দিয়ে দেবীকে নৈবেদ্য দেওয়া হত। অবশেষে দশমীতে মালিক পাড়ার ছেলেদের কাঁধে চড়ে দেবী সরস্বতী নদীতে বিসর্জন যান।