শুধু স্ত্রী-কন্যাই নয় কালো টাকা সাদা করতে বালু ব্যবহার করতেন শাশুড়ি-শ্যালককেও, বিস্ফোরক দাবি ইডির
Explosive claims of ED on Ration Distribution Case

নজরবন্দি ব্যুরো: রেশন দুর্নীতি-কাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অবৈধ টাকাকে বৈধ করতে ব্যবহার করেছিলেন তাঁর শ্যালক ও শাশুড়িকেও! এর আগে এই একই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী এবং কন্যার। এখন ইডি সূত্রে খবর, কালো টাকাকে সাদা করতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যে সব ভুয়ো সংস্থা খুলেছিলেন সেই সব সংস্থায় বিভিন্ন সময়ে ডিরেক্টর পদে ছিলেন বালুর শ্যালক এবং শাশুড়ি।

আরও পড়ুন: গঠিত হল SSC নিয়োগ মামলার বিশেষ বেঞ্চ, ডেডলাইনের আগে তৎপর হাইকোর্ট

ইডি সূত্রে খবর, ‘গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের একটি সংস্থায় ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০১৭ সালের অগস্ট মাস পর্যন্ত ডিরেক্টর পদে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শ্যালক। একই সংস্থায় তাঁর শাশুড়ি ডিরেক্টর পদে ছিলেন ২০১১ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০১৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত।
শুধু স্ত্রী-কন্যাই নয় কালো টাকা সাদা করতে বালু ব্যবহার করতেন শাশুড়ি-শ্যালককেও, বিস্ফোরক দাবি ইডির
আরও জানা গিয়েছে, ‘শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড’-এ জ্যোতিপ্রিয়ের শ্যালক ডিরেক্টর পদে ছিলেন ২০১১ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। সেখানেও বালুর শাশুড়ি ২০১৬ সালের জুন থেকে ২০১৭ সালের অগস্ট মাস পর্যন্ত ডিরেক্টর পদে ছিলেন। অন্য একটি সংস্থা হল ‘গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড’-এ প্রায় পাঁচ বছর ধরে ডিরেক্টর পদে ছিলেন দু’জনেই।
শুধু স্ত্রী-কন্যাই নয় কালো টাকা সাদা করতে বালু ব্যবহার করতেন শাশুড়ি-শ্যালককেও, বিস্ফোরক দাবি ইডির

শুধু স্ত্রী-কন্যাই নয় কালো টাকা সাদা করতে বালু ব্যবহার করতেন শাশুড়ি-শ্যালককেও, বিস্ফোরক দাবি ইডির

এর আগে আদালতে ইডি দাবি করে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী এবং কন্যাকে তিনটি সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসানো হয়েছিল। তবে, এই তিনটি সংস্থা চালানোর কথা স্বীকার করেননি জ্যোতিপ্রিয়। এজেন্সি আরও দাবি করেছিল, ভুয়ো সংস্থায় জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসের মা এবং স্ত্রীকেও ডিরেক্টর পদে বসানো হয়েছিল। এই সমস্ত সংস্থার মাধ্যমে প্রায় ১২ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি করেছে এজেন্সি।

অন্যদিকে, এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বৃহস্পতিবারও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে আদালতে পেশ করা সম্ভব হয়নি। তবে, ভার্চুয়াল শুনানিতে উপস্থিত করানো হয় তাঁকে। সেখানে বিচারকের কাছে তিনি কাতর আর্জি জানান বেঁচে থাকার জন্য! তবে, বিচারক তাঁকে জেলে ফিরে যাওয়ারই নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার রাতেই আবার শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর। জেলেই চলে চিকিৎসা। দেওয়া হয় অক্সিজেন সাপোর্ট। এই মুহূর্তে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শারীরিক অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল বলে জেল সূত্রে খবর।

শুধু স্ত্রী-কন্যাই নয় কালো টাকা সাদা করতে বালু ব্যবহার করতেন শাশুড়ি-শ্যালককেও, বিস্ফোরক দাবি ইডির
শুধু স্ত্রী-কন্যাই নয় কালো টাকা সাদা করতে বালু ব্যবহার করতেন শাশুড়ি-শ্যালককেও, বিস্ফোরক দাবি ইডির