২২ মার্চ শেষ দিন, ফের কঠোর সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন।
২২ মার্চ শেষ দিন, ফের কঠোর সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ ২২ মার্চ শেষ দিন, তাঁর মধ্যেই রাজ্যের সমস্ত পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে রাজনৈতিক নেতাদের। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হলে বা রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকলে পুর প্রশাসকের দায়িত্ব আর পালন করতে পারবেন না তিনি। কমিশন জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত এমন একাধিক পুরসভা রয়েছে যেখানে প্রশাসকের পদে রয়েছেন রাজনৈতিক নেতারা। অনেকে আবার প্রার্থী। কমিশন জানিয়েছে এতে নির্বাচনি আচণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ BJP জিতলে গরীবের ছেলে ডাক্তার হবে, চাকরি হবে…! ‘দিদি’ কে খেলতে দেবেন না মোদী।

নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে বড় ধাক্কা খেয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ পুরসভার প্রশাসক হওয়ার পাশাপাশি কলকাতা বন্দর বিধানসভা কেন্দ্র থেকেও ভোটে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী। অতীন ঘোষ প্রশাসক বোর্ডের সদস্য হওয়ার পাশাপাশি ভোটে দাঁড়িয়েছেন আসন্ন নির্বাচনে। পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার দেব্রবত মজুমদার, দেবাশিস কুমারও লড়ছেন এবারের নির্বাচনে। তাছারাও রাজ্য জুড়ে একাধিক পুরসভার দায়িত্ব প্রশাসক হিসেবে সামলাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা।

আরও পড়ুনঃ এমন করে গোল মারবেন, BJP যেন বোল্ড আউট হয়ে যায়! জিতলে মা-বোনেদের হাত খরচ দেবেন মমতা

নির্বাচন কমিশনের আশঙ্কা, কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি প্রশাসক বা এই ধরনের পদে থাকার পর প্রার্থী হলে তাঁরা ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারেন। তাই আগামী দশ ঘন্টার মধ্যে রাজনৈতিক নেতাদের সরিয়ে সরকারি কর্মীকে বসাতে হবে প্রশাসকের পদে। মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে আগামী ১০ ঘণ্টার মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ২২ তারিখে এই নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু তা কার্যকর না হওয়ার ফের মখ্যসচিব কে চিঠি দিয়েছে কমিশন।

উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচন কঠোরভাবে পরিচালনা করছে নির্বাচন কমিশন। আর সেই কারণেই ভোটের অনেক আগে থেকেই রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে পর্যবেক্ষক। প্রথম দফার ভোট হবে আগামী ২৭ তারিখ। আর তার আগে কমিশন জানিয়ে দিয়েছে ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে রাজ্য পুলিশের প্রবেশাধিকার নেই। সেখানে পুরোটাই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী হাতে। ১০০ মিটারের বাইরে আইনশৃঙ্খলায় নজর রাখার জন্য থাকবে রাজ্য পুলিশ। এছারাও বিভিন্ন দলের যে বুথ তৈরি হয় ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের কাছে এবার সে গুলিও তৈরি করতে হবে ২০০ মিটারের বাইরে।