নজরবন্দি ব্যুরো: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। এরপরই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়া শান্তিনিকেতনের নামফলকে ছিল না রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম লেখা ছিল। এনিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে কার্যত এক হয়ে গিয়েছিল শাসক-বিরোধী। একটানা বিতর্কের পর অবশেষে ফলক বদলের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত নন মানিক, দায় কার? হাইকোর্টে বিস্ফোরক দাবি প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতির
জানা গিয়েছে, শিক্ষামন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিশ্বভারতীর ফলক অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে। নতুন ফলকে কী লেখা হবে তাও পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি দ্রুত এই কাজ সম্পন্ন করার জন্য একটি ৬ সদস্যের কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এই কমিটিতে উপাচার্য সহ ৪ জন বিভাগীয় প্রধান ও ২ জন ইসি সদস্য থাকবেন। শিক্ষামন্ত্রকের নির্দেশে খুশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, আবাসিকরা। কয়েকদিন আগেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপরই ফলক পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুকুটে নয়া পালক জুড়েছে। কিন্তু দেখা যায় ইউনেস্কোর হেরিটেজ প্রাপ্তির ফলকে নাম নেই রবীন্দ্রনাথের। সেখানে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিশ্বভারতীর উপাচার্যের নাম। এনিয়ে কার্যত গর্জে উঠেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত মাসে এক সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্বভারতীর কৃতিত্বের নামফলকে রবীন্দ্রনাথের নাম না থাকা নিয়ে প্রতিবাদের সুর চড়ান। সময় বেঁধে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছিলেন, “শান্তিনিকেতন, বিশ্বভারতী যে হেরিটেজ তকমা পেয়েছে, তা তো রবীন্দ্রনাথের জন্যই। আর তাঁর নামই সরিয়ে দিল?”
মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরই বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাঁকে চিঠি পাঠান। যেখানে একাধিক কুরুচিকর মন্তব্য করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। বিদ্যুতের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ। একাধিক মামলায় ফেঁসে অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের রক্ষাকবচের আবেদন করেন তিনি। হাইকোর্ট তাঁকে সাময়িক রক্ষাকবচ দেয়। এদিকে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন সঞ্জয়কুমার মল্লিক। এরমধ্যেই ফলক বিতর্কে ইতি টানতে নির্দেশিকা পাঠালো শিক্ষা মন্ত্রক।
বিতর্কের মধ্যেই বিশ্বভারতীতে বসছে নতুন ফলক, চাপের মুখে নয়া নির্দেশিকা শিক্ষা মন্ত্রকের
