দরজা বেশিদিন খোলা থাকবে না, শাসক শিবিরের বিক্ষুব্ধদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলীপের।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ দরজা বেশিদিন খোলা থাকবে না, ভোটের আগে যেন জন গোয়ালে পরিণত হয়েছিল রাজ্য বিজেপি। শাসক দল থেকে মুড়ি মুড়কির মত যে পারছে বিজেপিতে যোগদান করছে। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে দলের অন্দরেই। অমিত শাহের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয় এবার থেকে এই মুড়ি মুড়কির মত দলে ঢোকার প্রবনতা বন্ধ করা হবে। যত বড়ই নেতা হোক বিচার বিবেচনা করে তবেই দলে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ ধৈর্য ধরলেন রাজীব, গৌতমকে ফোন স্বয়ং দিদির, একই দিনে দুই মন্ত্রীর মানভঞ্জন শাসক শিবিরের।
শুক্রবার মধ্যরাতে দিল্লি থেকে ফিরে শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘রাজ্যের স্বার্থে কেউ যদি বিজেপির ঝান্ডা ধরতে চায়, তাহলে তো না করতে পারি না। তবে আমাদের কাজের উপযোগী, সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এমন লোককেই নেওয়ার চেষ্টা করব। এখন আমাদের দরজা খোলা আছে, কিন্তু তা বেশিদিন থাকবে না।’ তাই একদা দাগি অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী দলে এলেই তাঁকে নিয়ে নেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে।
দলের পুরনো কর্মীদের মনে এই নিয়ে জমছিল ক্ষোভ। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর, গতকাল দিল্লিতে অমিত শাহের বাড়িতে দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই বৈঠকেও কাদের দলে নেওয়া হবে, কাদের হবে না তা নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় উঠে আসে, অন্য দল থেকে অনেক দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা দলে যোগ দিয়েছেন বা যোগ দিতে চাইছেন।
তাতে দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়লেও ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সেই কারণেই এবার দলে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে কিছুটা নিয়মবিধি রাখা হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জেতার সম্ভাবনার নিরিখে শুধুমাত্র যোগ্য নেতাদেরই বিধানসভা ভোটের টিকিট দেওয়া হবে।
দরজা বেশিদিন খোলা থাকবে না, তাও তাঁর পিছনের ইতিহাস পরীক্ষা করে। এর ফলে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী যারা দুই নৌকায় পা দিয়ে চলার চেষ্টা করছে তাদের প্রতি কড়া বার্তা যাবে বলেই মনে করছে বিজেপির অন্দরমহল।