
অর্ক সানা, সম্পাদক(নজরবন্দি): ২ পয়সা কিনতে ১২৪০ টাকা চাইছে, সংসদে একটা প্রতিবাদী বক্তব্য হয়ে যাক মহুয়া ম্যাডাম! আপনি তৃণমূলের প্রথমসারির সাংসদ। ঝাঁজালো বক্তব্য নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই মহুয়া মৈত্র কিনা সাংবাদিকদের বলে ফেলনেন ২ পয়সার সাংবাদিক। তা নিজে একজন ২ পয়সার সাংবাদিক হয়ে নিজের দাম খুঁজতে গুগল করলাম। যা দেখলাম তাতে চক্ষু ছানাবড়া হয়ে গেল ভাবলাম এই লেখাটি লেখা আশু প্রয়োজন। জানেন ম্যাডাম আমাদের দাম অনলাইন শপিং সংস্থা স্ন্যাপডিলের মতে ১৯৫৭ সালের ২ পয়সার দাম ১২৪০ টাকা!
আরও পড়ুনঃ বিজেপির ‘জয় শ্রীরাম’- অস্ত্রের জবাব এবার তৃণমূলের ‘তথাস্তু’!
একজন দু পয়সার সাংবাদিক হয়ে আপনাকে জিজ্ঞাসা করছি এত ঔদ্ধত্ব কেন? দলের একটা ভাল পদে রয়েছেন সাংসদ হিসেবে নাম কুড়িয়েছেন ঝাঁজালো বক্তব্যে কিন্তু এটা কি করলেন আপনি? একে তো অন্যায় করলেন, অসম্মান করলেন তারপর আবার ট্যুইট করে নিজেকে জাহির করলেন! সামান্য লজ্জাবোধ টুকুও পেলাম না আপনার ট্যুইটে। জানিনা নিজের আত্মগরিমাময় ট্যুইট আত্মবিশ্লেষন করে আবার ডিলিট করে দেবেন কিনা। তবে আপনার হাবভাব দেখে যা বুঝলাম সাংবাদিকদের খুব নিচুমানের দৃষ্টিতে দেখেন আপনি।
২ পয়সা কিনতে ১২৪০ টাকা চাইছে স্ন্যাপডিল! এবার আসা যাক দু’পয়সার প্রসঙ্গে, আপনার দু’পয়সার বাণী শুনে উঁকি দিলাম দু’পয়সার ইতিহাসে। যা জানলাম তা চমকপ্রদ। জানি আপনার অগাধ পাণ্ডিত্ব, তবুও আপনার জন্যেই কিছু তথ্য নিবেদন। ইতিহাস ঘেঁটে জানলাম ২ পয়সার প্রথম নাম ছিল ‘হাফ আনা’। যা কিনা ‘ডবল পয়সা’ নামে বেশি পরিচিত ছিল। আর শুধু পরিচিতই নয় রানি ভিক্টোরিয়ার সময় পর্যন্ত বাজারে দাপিয়ে চলেছিল ‘ডবল পয়সা’।
১৯৫৭ সালে ‘দু’পয়সা’ নাম হয় ‘ডবল পয়সা’র। এককালে এই দু’পয়সায় নাকি ইলিশ মাছ পাওয়া যেত! করা যেত দু ব্যাগ ভরা বাজার। ভাবা যায়। বলছি মহুয়া ম্যাডাম আপনি আমাদের দাম ধার্য করে দিয়েছেন ঠিকই তবে খানিকটা সম্মানও জানিয়েছেন! কেন? অবাক হবেন না… আপনি প্রাক্তন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার, একটু ভাবা প্র্যাক্টিশ করুন নিজেই উত্তর খুঁজে পাবেন। আপনি লিখেছেন, “আই অ্যাপোলোজাইজ ফর দ্য মিন হার্টফুল অ্যাকিউরেট থিংস আই সেড।” যার বাংলা তর্জমা করলে হয়, “নিম্নমানের দুঃখজনক সঠিক কথা বলার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।” অর্থাৎ ‘সঠিক’ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইছেন আপনি… ছিঃ নির্লজ্জ সাংসদ।
