নজরবন্দি ব্যুরোঃ সুরক্ষিত যৌনতা বা সেফ সেক্সের কথা মাথায় রেখেই যৌন মিলনে লিপ্ত হওয়া উচিত। মোটামুটি বেশিরভাগ মানুষই কন্ডোম বলতে মেল কন্ডোমের কথাই ভাবেন। এই ধরনের কন্ডোমকেই জন্মনিয়ন্ত্রণের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরা হয়। আর এ বিষয়ে সব থেকে বড় ভরসা হল কন্ডোম। কিন্তু সব সময় কন্ডোমের ওপর ভরসা করাও কিন্তু ঠিক নয়!
আরও পড়ুনঃ গাঁজা-সিগারেটের মিশ্রণে ঘটবে বড় ধামাকা, দাবি সমীক্ষার
কন্ডোম ব্যবহারের মাধ্যমে শুক্রাণু (Sperm) মহিলাদের যৌনাঙ্গে পৌঁছয় না। ফলে ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে সন্তানধারণের আশঙ্কাই থাকে না। অপরদিকে যেহুতু নারী ও পুরুষের যৌনাঙ্গ একে অপরেরর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কে আসছে না, ফলত যৌনরোগের আশঙ্কাও থাকে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কন্ডোম ব্যবহার একদমই নিরাপদ। তবে কিছু ক্ষেত্রে এর থেকে সমস্যা দেখা দিলেও দিতে পারে।
অনেক সময় এই কন্ডোম থেকেই ঘটে যেতে পারে বিপদ! কেন বলা হচ্ছে এ কথা? অবাক হচ্ছেন তো? আসলে আমরা অনেকেই কন্ডোম ব্যবহারের সময় বিশেষ এক বিষয় লক্ষ্য করি না। আর সেই বিশেষ বিষয়টিই ঘটিয়ে ফেলতে পারে মারাত্মক বিপদ! কন্ডোম তৈরি হয় এক ধরনের রবার জাতীয় উপাদান দিয়ে। এই উপাদানের নাম ল্যাটেক্স। অনেকের সেই ল্যাটেক্সে অ্যালার্জি থাকে। তা থেকে যৌনাঙ্গে অ্যালার্জি হতে পারে।
এছাড়াও বহু কন্ডোম পলিউরেথান বা পলিইসোপ্রিন জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি হয়। অনেকের আবার ল্যাটেক্সে অ্যালার্জি (Latex Allergy) থাকে। সেই থেকে যৌনাঙ্গ সহ সারা শরীরে র্যাশ দেখা দিতে পারে। এমন সমস্যা থাকলে পলিউরেথান বা পলিইসোপ্রিন জাতীয় কন্ডোম ব্যবহার করুন।
কন্ডোম ব্যাবহারে হতে পারে মারাত্মক অ্যালার্জি, সাবধান হন এখনই
বেশিরভাগ মানুষই জানেন যা এই জিনিসটারও একটা মেয়াদ রয়েছে। সেই মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া সম্ভব। আর তা থেকেই ঘটতে পারে মহা বিপদ। মনে রাখবেন সুরক্ষিত যৌনতার জন্য কন্ডোম যেন এক্সপায়ারি ডেট পেরিয়ে না যায়!