নজরবন্দি ব্যুরোঃ গত শনিবার ঝাড়খণ্ডের এক বিধায়কের গাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তে তৎপরতা বাড়িয়েছে ইডি। কিন্তু সিআইডির তদন্তের পরিবর্তে সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি বিধায়ক। কিন্তু বিধায়কদের সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, সিবিআই নয়, তদন্ত করবে সিআইডি।
আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, সিআইডির ওপর ভরসা রয়েছে তাঁরা নিরপএক্ষভাবে তদন্ত করতে পারবে। সেইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক মামলার কথা উল্লেখ করে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টচার্য বলেন, অভিযুক্ত কখনই তদন্তকারী সংস্থাকে বেছে নিতে পারে না। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের মন্তব্য তদন্তভার হস্তান্তরের জন্য পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

শনিবার ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ধৃত তিন জন হলেন, ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার বিধায়ক ইরফান আনসারি, খিরজির বিধায়ক রাজেশ কাছাপ এবং কোলেবিরার বিধায়ক নমন বিক্সাল। তদন্তকারী অফিসারদের হাতে যে তথ্য উঠে এসেছে তা হল, তিন বিধায়ক ঝাড়খণ্ডের সরকার ফেলার জন্য টাকা নিয়েছিল। এতে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার যোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল তদন্তে গতি বাড়াতেই ভিন রাজ্যের পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় সিআইডি কর্তাদের। সিআইডি পুলিশের কর্তাদের আটকায় দিল্লি পুলিশ। এছাড়াও সিআইডি অফিসারদের আটক অবধি করে অসম পুলিশ।
মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল, যে অভিযোগ উঠে আসছে, তাতে একাধিক রাজ্যের যোগ রয়েছে। তাহলে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কীভাবে এই ঘটনার তদন্ত করবে? সেই কারণ দেখিয়েই রাজ্য গোয়েন্দাদের বদলে কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল।
সিবিআই নয়, তদন্ত করবে সিআইডি, কড়া পদক্ষেপ হাইকোর্টের
এই ঘটনায় তদন্তে নেমে কলকাতায় এক ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগরওয়ালকে আটক করে সিআইডি। তাঁর অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে টাকা। সিআইডি সূত্রে খবর, ওই ব্যবসায়ীর মাধ্যমেই টাকা এসেছে। তাই এর সঙ্গে কারা যুক্ত? তা ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করলেই জানা যাবে বলে মনে করছে সিআইডি অফিসাররা।