নজরবন্দি ব্যুরোঃ গ্রুপ সি নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল বিচারপতি আরকে বাগের কমিটির। সেখানেই বাগ কমিটির আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতকে জানান, ৩৮১ জনকে ভুয়ো নিয়োগ করা হয়েছে। তার মধ্যে ২২২ জন পরীক্ষাই দেননি। বাকিরা পাশ করেনি। যে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছে তার মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৯ সালের মে মাসে। নিয়োগে বড় দুর্নীতি করেছে এসএসসি, আদালতে দাবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের।
আরও পড়ুনঃ Modi-Mamata: ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি নিয়ে মোদিকে চিঠি মমতার
এদিন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি আনন্দকুমার মুখ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে চলে মামলার শুনানি। সেখানেি রিপোর্ট জমা দেয় প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের নেতৃত্বাধীন কমিটি। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে ২০১৯ সালের মে মাসে মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও নিয়োগ হয়েছে নভেম্বর মাস অবধি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহার সুপারিশেই ভুয়ো নিয়োগপত্র তৈরি করেন পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়।
অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পেন্ডিং রিক্রুটমেন্ট শেষ করতে বলেন। তাঁর নির্দেশেই পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি গঠিত হয়। নম্বর বাড়িয়ে ওএমআর শিটে গণ্ডগোল করা হয়েছে দাবী আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, সমরজিৎ আচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সৌমিত্র সরকার, অশোককুমার সাহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শর্মিলা মিত্র, শুভজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শেখ সিরাজউদ্দিন, মহুয়া বিশ্বাস, রাজেশ লায়েক এবং ধ্রুব চক্রবর্তী।
নিয়োগে বড় দুর্নীতি করেছে এসএসসি, রায়দান ১৮ মে

শুনানিতে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, আদালত চাইলে পুলিশ এর তদন্ত করতেই পারে। নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে দাবী আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের। এসএসসি নিয়োগ মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বজায় রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। ১৮ মে রায় ঘোষণা হবে।