নজরবন্দি ব্যুরোঃ বেশ মেজাজেই আছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। জেলে থাকলে কি হবে মেজাজ কিন্তু আগের মতোই। তাই হঠাৎ সবাই ভাবতে শুরু করেছেন, কী হলো কেষ্টর? আজ আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বিধাননগর এমপি–এমএলএ আদালতে আনা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। সেখানেই স্বমেজাজে দেখা যায় কেষ্টকে।
আরও পড়ুনঃ ‘২৪-এর আগেই মমতার ডেপুটি হিসেবে শপথ অভিষেকের? বড় ইঙ্গিত দিচ্ছে ফাঁকা আসন
ঠিক কী বলেছেন অনুব্রত মণ্ডল? বৃহস্পতিবার বিধাননগরের এমপি–এমএলএ আদালতে নিয়ে আসার সময় সংবাদমাধ্যম তাঁকে প্রশ্ন করে, ‘আপনি জানেন শুক্রবার ইডি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকেছেন?’ এই প্রশ্ন শুনেই অনুব্রত সপাটে মেজাজের সঙ্গে উত্তর দেন, ‘নাচব? নাচব নাকি ডেকেছে বলে?’ এখানেই শেষ নয়, তাঁকে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন কেমন হবে? জিজ্ঞাসা করা হয়। তখন তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচন ব্যাপক হবে।’
কিন্তু গরু পাচার মামলায় আটক অনুব্রতকে কেন নিয়ে আসা হল বিধাননগর আদালতেয়? সূত্রের খবর, ২০১০ সালের মঙ্গলকোট থানা এলাকার পুরনো মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে কলকাতার বিধাননগরের এমপি–এমএলএ আদালতে হাজিরা হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাই বৃহস্পতিবার সশরীরে তিনি হাজিরা দিতে আসছেন। বামফ্রন্ট আমলে সেখানে একটি বিস্ফোরণ হয়েছিল। অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল। চার্জশিটেও তাঁর নাম ছিল। সেই মামলাতেই হাজিরা দিতে এসেছেন অনুব্রত মণ্ডল।
‘পঞ্চায়েত নির্বাচন ব্যাপক হবে’, মেজাজেই রয়েছেন জেলবন্দি কেষ্ট।
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর আত্মীয়স্বজনদের নামে একাধিক সম্পত্তির নথি উদ্ধার করেছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও তাঁর আত্মীয়স্বজনদের নামে অন্তত ১৬২টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারই এখন ঠিকানা তাঁর। সূত্রের খবর, সংশোধনাগারের হাসপাতাল ওয়ার্ডে রয়েছেন তিনি। দুই শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসার সমস্ত বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
আদালতের বাইরে এসে অনুব্রতের আইনজীবী শৌভিক বসু জানান, অনুব্রত আদালতে নিজেকে নির্দোষ বলেই জানিয়েছেন। শুনানি শেষে অনুব্রতকে নিয়ে সিবিআই এবং পুলিশ ইতিমধ্যেই আসানসোলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।