নজরবন্দি ব্যুরো: ভয়ঙ্কর দুর্যোগের মধ্যে পড়েছে কনভয়৷ বাধ্য হয়ে থামিয়ে দিতে হয়েছে গাড়ি৷ এমনকী, সভামঞ্চও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এরপরেই নাকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি ফোন করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেছিলেন, আবহাওয়া খুব খারাপ, কর্মসূচি দু-এক দিন বাদে করতে।
আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে DA বাড়ল ৪%! বাংলায় ৬, উত্তরপ্রদেশে ৪২! এক দেশ এক মহার্ঘ্যভাতা কবে?
সে কথা না শুনেই নাকি কর্মসূচি জারি রেখেছেন অভিষেক৷ দুর্গাপুরের অধিবেশনে নিজেই এই কথা জানালেন তিনি৷ রাজ্যের নানা জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। মানুষের দুঃখ–দুর্দশা থেকে সমস্যা শুনছেন তিনি। এমনকী নিজের সামর্থ্য মতো উপকারও করে চলেছেন এই সাংসদ। গ্রামীণ মানুষের কাছে তিনি এখন হয়ে উঠেছেন মুশকিল আসান। ভাঙা গলা নিয়েও জনসভা করেছেন।
এখন একটু শরীরটা খারাপ হয়েছে অভিষেকের। এই খবর পেয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি ফোন করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তখনই দিয়েছেন স্নেহের ধমক। মমতা বলেন, ‘আবহাওয়া খুব খারাপ। কর্মসূচি দু’একদিন বাদে করো। আর তোমার গলা ভেঙে গিয়েছে, শরীর খুব খারাপ হয়েছে। কয়েকদিন বিশ্রাম নাও’।
এর পর অভিষেক বলেন, ‘রাজনীতির ছাত্র হিসেবে যেটা শিখছি, তা আরও শিখতে চাই। তৃণমূলে নবজোয়ার এখন জনজোয়ারে পরিণত হয়েছে।’ আর এরই রেশ টেনে আরও একবার দলের কর্মীদের সতর্কও করেন অভিষেক।
শরীর খুব খারাপ হয়েছে, কয়েকদিন বিশ্রাম নাও, ভাইপো অভিষেক কে পরামর্শ পিসি মমতার
তিনি বলেন, ‘‘নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে নয়। আশি বছর আগে একজন বলেছিল, দিল্লি চলো৷ তিনি লড়াই না করলে ইংরেজ সরকার সরত না। আর আজ এক মহিলা বলছেন আশি বছর পরে দিল্লি চলো। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে নয়৷ তিনি মানুষের অধিকার চাইতে যেতে বলছেন। কাজে মন দিন। কে বিরোধিতা করল। কে কী করল, বলল তাতে মন দেবেন না৷’’