নজরবন্দি ব্যুরোঃ ৩০ কোটি ভারতীয়কে টিকা আগামী সেপ্টেম্বরে, সুখবর দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। সোমবার একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, ২০২১ সালের প্রথম ৩ মাসের মধ্যেই করোনার টিকা হাতে পেয়ে যাবে ভারত। আর টিকা হাতে আসার সাথে সাথেই তা বন্টন শুরু হবে রাজ্যগুলোতে। হর্ষ বর্ধনের দাবি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ২৫-৩০ কোটি ভারতীয় কে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুনঃ হারের জন্য দায়ী দলনেতাই। সিব্বলের পর ফের কংগ্রেসের সমালোচনায় গুলাম নবি আজাদ।
তাঁর বক্তব্য, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রায় ২৫০টি সম্ভাব্য টিকা নিয়ে গবেষণা চলছে। তার মধ্যে ৫টি সম্ভাব্য টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে ভারতেই। যে টিকাটি কার্যকারিতা এবং রোগীর নিরাপত্তার বিষয়ে সবথেকে বেশী সুরক্ষা দেবে সেই টিকাটিকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিনের ওপর নজর রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের।
ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যকর্মী, প্রবীণ নাগরিক এবং কো মর্বিডিটি আছে এমন মানুষকে প্রথমেই দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। এছাড়াও যাদের জন্যে ভ্যাকসিন প্রথমেই প্রয়োজন তাঁদেরকেও আনা হবে ভ্যাকসিনেশনের আওতায়। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, করোনা যোদ্ধাদের নামের তালিকাও প্রস্তুত করা হচ্ছে ভ্যাকসিন প্রদানের জন্যে। এ ছাড়া পুলিশ, আধাসেনা, জীবাণুনাশ করার কাজে যুক্ত ব্যক্তি এবং ৬৫ বছরের বেশি যাঁদের বয়স তাঁরাও প্রথম তালিকায় রয়েছেন। দ্বিতীয় ভাগে ৫০ বছরের বেশি বয়স্ক এবং কোমর্বিডিটি আছে এমন রোগীরা।
তিনি বলেন, “ভ্যাকসিনের সুরক্ষা, খরচ, উৎপাদন এবং যোগান নিয়ে জোর কদমে আলচনা চলছে।” পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েদেন মানুষের আস্থা অর্জনে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ তাঁকে নিতে হলে তিনি তা স্বচ্ছন্দেই গ্রহণ করবেন।
তবে কোন ভ্যাকসিন ২০২১ সালের শুরুতেই কেন্দ্রের ছাড়পত্র পেতে পারে তা নিয়ে মন্তব্য করেননি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তিনি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ২০২১ সালের প্রথম ৩ মাসের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন। টিকার দাম যতই হোক না কেন, যাঁদের এই ভ্যাকসিন সবচেয়ে বেশি জরুরি, তাঁদের দেওয়া হবে ভ্যাকসিন বলে জানিয়ে দেন তিনি।