নজরবন্দি ব্যুরোঃ কেন খাবেন ডিম? শীতে কতটা সুরক্ষা দেয়? পুজো শেষ হতে না হতে সাধারণ নিয়মেই শীত পড়ছে বেশ ভালোরকম। এই ঋতুবদলের সময়ে বিভিন্ন রোগজ্বালা লেগেই থাকে। সাথে সর্দি-কাশি জ্বর তো আছেই। প্রত্যেকের কাছে এই সময় সুস্থ থাকাটা খুব জরুরি কারণ করোনা ভাইরাস এখনো আমাদের ছেড়ে যায়নি। আর শীতে ভাল থাকার অন্যতম খাওয়ার হল ডিম।
আরও পুরুনঃ সুরা প্রেমীদের জন্য সুখবর, রাজ্যে কমতে চলেছে মদের দাম
প্রোটিন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে বিভিন্ন রোগ সংক্রমণের হাত থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে। আর ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণে হাই প্রোটিন, যা শরীরের অ্যান্টিবডি তৈরি করতে খুব উপকারি। এর কারনেই ডিম খেলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশেই বেড়ে যায়।
সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডি রয়েছে। নিয়মিত সূর্যের আলো যারা গায়ে মাখেন তাঁদের সাধারনত ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগতে হয়নে। তবুও এর অভাবে ভোগেন অনেকে। তারপর আবার শীতকালে সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডি কম থাকায় রোগ ভোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই সময় প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া খুব দরকার। ভিটামিন ডির সাথে ডিমে রয়েছে বি সিক্স ও বি টুয়েলভ নামক ভিটামিন। যা আপনার শরীর কে শীতকালীন অসুস্থতার হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
এই ঋতুবদলের সর্দি-জ্বর হলে আমাদের অনেক ওষুধ খেতে হয়। এই ওষুধে যে খনিজ উপাদান হিসাবে জিঙ্ক থাকে, ডিমেও রয়েছে সেই জিঙ্ক, ফলে ঋতুবদলের সর্দি-কাশি দূর করতে ডিম খুবই উপকারী। ডিমের কুসুম নিয়ে একটি ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে। যেহেতু ডিমের কুসুমে অধিক মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকে, তাই ধারণা করা হতো, যাঁদের করোনারি হার্ট ডিজিজ রয়েছে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তাঁদের জন্য ডিমের কুসুম ক্ষতিকর। পরামর্শ দেওয়া হতো কুসুমছাড়া ডিম খাওয়ার জন্য।
কেন খাবেন ডিম? শীতে কতটা সুরক্ষা দেয়? জানুন ডিম খাওয়ার উপকারিতা।
কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এটি প্রমাণিত হয়েছে, ডিমের কুসুম থেকে যে কোলেস্টরেল পাওয়া যায়, তা রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় না এবং এটি করোনারি হার্ট ডিজিজের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। প্রতিদিন কুসুমসহ একটি ডিম সবার জন্য নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। ডিমের কুসুমে পুরো ডিমের প্রায় অর্ধেক পুষ্টি উপাদান থাকে। এ ছাড়া কুসুমে আমাদের জন্য উপকারী উপাদান ফলেট, কোলিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, লেটিইন এবং জি-অ্যাকজানথাইন থাকে। তাই কুসুম বাদ দিয়ে নয়, কুসুমসহ প্রতিদিন একটি ডিম সবার জন্যই স্বাস্থ্যসম্মত।
এদিকে আধুনিক সময়ে সহজ জীবন যাপনের ফলে শরীরের মেদ বাড়ছে। সাথে করোনা ভাইরাস ঘরবন্দি করে দিয়েছে সাধারণ মানুষ কে। তাই প্রায় সবার কাছেই শরীরের আতিরিক্ত মেদ ঝরানো বড় সড় চিন্তার বিষয়। কিন্তু আপনি জানেন কি আমাদের শরীরের তাপমাত্রা কে বজায় রেখে অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করবে চর্বিসমৃদ্ধ ডিম। তাই শীতকালের সকালে একটি করে ডিম খাওয়া খুবই দরকার।