নজরবন্দি ব্যুরোঃ করোনা আবহে দর্শকহীন গ্যালারিতেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আইএসএলের সপ্তম সংস্করণ। শুধু তাই নয়, দেশের একটি কিংবা দু’টি রাজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে ২০২০-২১ আইএসএলের ব্যপ্তি। সেই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে গোয়া এবং কেরল। টুর্নামেন্টের আয়োজক ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড বা এফএসডিএলের সঙ্গে ক্লাব কর্তাদের বৈঠকে এই ইস্যুতে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আইএসএলের আয়োজক ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড বা এফএসডিএলের সঙ্গে ক্লাব কর্তাদের বৈঠক হয়েছে সোমবার। ওই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, করোনা ভাইরাসের আবহে চলতি বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হতে পারে আইএসএল। ফুটবলার, স্টাফ, ফুটবলপ্রেমীদের সুরক্ষার কথা ভেবেই এই পথে হাঁটতে চাইছে আয়োজকরা। ঠিক হয়েছে টুর্নামেন্টের সময় প্রতিটি দলকে বায়ো-সিকিওর বাবলসের মধ্যে রাখা হবে। এর পাশাপাশি দলে বিদেশি খেলানোর নিয়মেও আসছে কিছু বদল। আগেই বলা হয়েছিল, ২০২০-২১ মরশুম থেকে একজন এশীয় আন্তর্জাতিক ফুটবলারকে খেলাতে হবে।
পরের মরশুম থেকে পাঁচ বিদেশির সঙ্গে একজন এশিয়ান ফুটবলারও থাকবে। পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৩৫ এবং সর্বনিম্ন স্কোয়াড হবে ২৫ জনকে নিয়ে। সবচেয়ে কম পাঁচ এবং সবচেয়ে বেশি সাতজন বিদেশি তারকাকে (এশিয়ান ফুটবলার-সহ) সই করাতে পারবে ক্লাব। অপর দিকে একটি সুত্র বলছে এবার আইএসএল ভারতের বাইরেও হতে পারে। আইপিএলেও হতে পারে আবু ধাবি কিংবা দুবাইকে। কারণ, আইপিএল এবং আইএসএলের সম্প্রচারকারী সংস্থা হল স্টার স্পোর্টস।
তারা চাইছে,ভারতের বাইরে এই দুটো টুর্নামেন্টকে নিয়ে যেতে। ফেডারেশন চাইছে, স্পনসরের স্বার্থ দেখতে। কোনওমতেই টুর্নামেন্ট বাতিল না হয়ে যায়। অক্টোবরে করোনার ভ্যাকসিন আসতে পারে। নভেম্বর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হতে পারে। ফেডারেশন সচিব কুশল দাশ বলেন, ‘আইএসএল যে করেই হোক, করতে হবে। এর পিছনে অনেক স্পনসর রয়েছে, টাকা ঢালছে। ওদের দিকটাও দেখতে হবে।’