নজরবন্দি ব্যুরো: “আমি প্রথম থেকেই জানতাম এটা হবে! পশ্চিমবঙ্গে এই রকমের রাজনীতি চলে। বাইরনই আসল মীরজাফর!” বাইরন বিশ্বাসের দলবদলের ঘটনায় কটাক্ষ করে এমনটাই বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
প্রসঙ্গত, সাগরদিঘি মডেলে বড় ধাক্কা! সোমবার তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে এলেন বাইরন। কংগ্রেসে থেকে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে পারছিলেন না বলেই এই দলবদল, দাবি বাইরন বিশ্বাসের। কিন্তু এপ্রসঙ্গে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই দলবদল নিঃসন্দেহেই কংগ্রেসের কাছে বড় ধাক্কা! নির্বাচনের আগেই বড় চাল চালল তৃণমূল। যদিওবার এই দলবদলের প্রসঙ্গে প্রথমে মন্তব্য করতে চাননি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

কিন্তু পরে এপ্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “যেকোনও নির্বাচন জেতার পরেই খুব স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিমবঙ্গে একজন জনপ্রতিনিধিকে ভয় দেখানো কিংবা হুমকি দেওয়ার ব্যাপারটা হয়েই থাকে। তৃণমূলের এটাই কাজ, প্রথমে টাকা দেখায়। তাতে কাজ না হলে ডান্ডা দেখায়। ওরা বাইরনকেও প্রথমে টাকার কথা বলেছিল। কিন্তু বাইরন তখন তাতে রাজি হয়নি। তাই শেষে ডাণ্ডা দেখাল তৃণমূল। বাইরন নিয়ম মেনেই করেছেন যা করেছেন, এর মধ্যে কোনও অনিয়ম নেই।”
অন্যদিকে, মেরুদণ্ডহীন প্রাণীর বিক্রি হওয়ার নমুনা দেখলাম, বাইরনকে আক্রমণ করলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বাম নেতা আরও বলেন, “হাটে-বাজারে বিক্রি হওয়া কিছু মেরুদণ্ডহীন প্রাণী যেমন বিক্রি হয় তেমনই বিক্রি হওয়ার নমুনা দেখলাম আমরা। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ যে কাজ দেশব্যাপী করেন, তেমনটাই আমরা দেখলাম। জেতা বিরোধী দলের নেতাদের ভয় দেখিয়ে বা পয়সার বলে কিনে নেওয়া। বিজেপি ও তৃণমূল যে একইভাবে গণতন্ত্রের পক্ষে ভয়ঙ্কর, সেই প্রমাণই যেন ফের একবার দেখা গেল।”