টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটেই মনোযোগ দিচ্ছেন শুভমন গিল। রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির মতো তিনিও জাতীয় দলে জায়গা আরও মজবুত করতে ফিরছেন দেশীয় প্রতিযোগিতায়। আসন্ন বিজয় হজারে ট্রফিতে পঞ্জাবের দলে তাঁর নাম নিশ্চিত হয়েছে।
শুধু শুভমন নন, পঞ্জাব দলে রয়েছেন ভারতের আরও দুই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার—অভিষেক শর্মা ও অর্শদীপ সিংহ। তাঁদের সঙ্গে প্রভসিমরন সিংহ, নমন ধির, অনমোলপ্রীত সিংহ, রমনদীপ সিংহ ও হরপ্রীত ব্রারের মতো পরিচিত নাম থাকায় শক্তিশালী দল গড়েছে পঞ্জাব।

২৪ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলবে পঞ্জাব। গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে জয়পুরে। মহারাষ্ট্র ছাড়াও ছত্তীসগড়, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, সিকিম, গোয়া ও মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেলবে তারা। গ্রুপ পর্ব শেষ হবে ৮ জানুয়ারি।
তবে শুভমন, অভিষেক ও অর্শদীপ কতগুলি ম্যাচ খেলতে পারবেন, তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে। কারণ, ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের এক দিনের সিরিজ়। সেই সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে খেলবেন শুভমন। পরে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে খেলবেন অভিষেক ও অর্শদীপ। ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, তার আগে এই সিরিজই ভারতের শেষ প্রস্তুতির মঞ্চ।
ক্রিকেট বোর্ডের সাম্প্রতিক নির্দেশ অনুযায়ী, ২০২৭ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাকা করতে হলে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা বাধ্যতামূলক। সেই নির্দেশ মেনেই বিজয় হজারে নামছেন রোহিত শর্মা (মুম্বইয়ের হয়ে) ও বিরাট কোহলি (দিল্লির হয়ে)। তাঁদের পথ অনুসরণ করেই ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছেন শুভমন গিল।


উল্লেখ্য, এশিয়া কাপের আগে টি-টোয়েন্টি দলে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছিল শুভমনকে। কিন্তু ছোট ফরম্যাটে ধারাবাহিক রান না পাওয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চোটের কারণে শেষ ম্যাচ না খেলতে পারায় বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। বোর্ডের ব্যাখ্যা, দলের ভারসাম্য রক্ষার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। তাঁর জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছেন রিঙ্কু সিংহ ও ঈশান কিশন।
সব মিলিয়ে, জাতীয় দলে ফেরার রাস্তা হিসেবে ঘরোয়া ক্রিকেটকেই বেছে নিয়েছেন শুভমন। বিজয় হজারে তাঁর পারফরম্যান্সই ঠিক করে দিতে পারে ভবিষ্যতের সমীকরণ।








