নজরবন্দি ব্যুরো: কেন্দ্রের কৃষি বিল নিয়ে কৃষকদের বিক্ষোভ অবস্থান আজ ৪৩ দিনে পড়লো। যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে বিক্ষোভের তীব্রতা। বিভিন্ন জায়গা থেকে দলে দলে কৃষকরা চলেছে সিঙ্গু সীমান্তের দিকে অবস্থান প্রতিবাদকে আরও তীব্রতর করতে। এদিকে আন্দোলন নিয়ে আজ আশঙ্কা প্রকাশ করলো দেশের সর্বোচ্চ আদালত। উদ্বেগের কারণ করোনা ভাইরাস।
আরও পড়ুন: ফের কাঠগড়ায় রাজ্যের সরকারি হোম, সেফটিপিন দিয়ে নাম খোদাই করা হল নাবালিকার শরীরে
হাজার হাজার মানুষের জমায়েত এর মধ্যে করোনা বিধি ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি? সুপ্রিম কোর্টের আশঙ্কা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকলে গত বছরের তবলিঘি জমায়েতের মতো এখান থেকেও করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে তীব্রগতিতে। আজ দিল্লীতে চলা সমাবেশে ঠিকমতো করোনা বিধি মানা হচ্ছে কিনা সেই ব্যাপারে বিচারপতি জানতে চান কেন্দ্রের কাউন্সিলের কাছে। যার জবাবে কেন্দ্র জানায় অতিমারীর মধ্যে ওই জমায়েতে কোনও নিয়মই মানা হচ্ছে না। এরপরই উদ্বেগ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। জানিয়ে দেয় এই অবহেলা কয়েক মাস আগে হওয়া দিল্লীর তবলিঘি জমায়াতের থেকেও ভয়ঙ্কর হতে পারে এবং সংক্রমণের গতি তীব্র হারে বাড়িয়ে দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনা পরিস্থিতির জন্য তবলিঘি জামাতের সমাবেশকে দায়ী করেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। সংসদে এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, সরকারি বিধিনিষেধ না মেনেই তবলিঘি জামাত সমাবেশ করেছিল। মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবহার করা হয়নি। মানা হয়নি সামাজিক দূরত্বও। ফলে সেখান থেকে অনেকেই আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। এদিকে কৃষক আন্দোলনে রোজই কিছু অভিনব জিনিস দেখা যাচ্ছে. এদিকে আজই নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ‘ট্রাক্টর মার্চ’ করেন বিক্ষোভকারীরা। সিঙ্ঘু থেকে টিকরি সীমান্ত ছাড়াও টিকরি থেকে কুণ্ডলী, গাজিপুর থেকে পালওয়াল এবং রেওয়াসন থেকে পালওয়ালে মিছিল বের হয়।
দিল্লির কৃষক জমায়েত থেকে প্রবল হতে পারে করোনা সংক্রমণ, বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে কৃষক আন্দোলন চলা সত্ত্বেও কেন কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি তা নিয়ে গতকালই প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। আগামি সোমবার নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত মামলাগুলির শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে। তার আগে আগামিকাল শুক্রবার কেন্দ্রের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ কৃষকদের তৃতীয় দফা বৈঠক। আগের বৈঠকগুলিতে রফাসূত্র না মেলায় এবারের বৈঠকে আদৌ কোনো সমাধান মিলবে কিনা সেই নিয়ে সকলেই সন্দিহান।