নজরবন্দি ব্যুরোঃ মেয়ো রোড থেকে লালবাজার সেন্ট্রাল লক আপ! ভোট পরবর্তী বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে আওয়াজ তুলেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহনের দিনেই ধর্ণায় বসেছিল বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা। কিন্তু গান্ধী মূর্তির পাদদেশের ধর্ণা মঞ্চ খুলে দেওয়া হয়েছিলো। কোভিডের কারণে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেই কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা। রাজ্য জুড়ে চলছে আংশিক লকডাউন।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে আক্রান্ত বহু কর্মী, হিংসা না থামা পর্যন্ত বিধানসভা অধিবেশন বয়কট BJP’র।
এই অবস্থায় মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবৈধ জমায়েতের অভিযোগে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রূপও গাঙ্গুলি, এবারের নির্বাচন জিতে আসা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা এবং কোয়েম্বাটুরের বিধায়ক বনতি শ্রীনিবাসনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপে। পরে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তাঁরা।
রাজ্যজুড়ে মেয়েদের ওপর হওয়া অত্যাচারের প্রতিবাদে আজ মেয়ো রোডে ধর্ণায় বসেছিলেন তাঁরা। অগ্নিমিত্রার কথায় কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই প্রশাসনের কাছে ২০ জনের জমায়েতের অনুমতি নিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁর কথায় ২০ জনও উপস্থিত হননি। ৮ জন মিলে ধর্ণায় বসেছিলেন তাঁরা। তার পরেও কোভিড বিধি লঙ্ঘনের অপরাধে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাঁদের বলেই জানিয়েছেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর যুক্তি প্রতিবাদ করতে দেবে না বলেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তাঁদের।
মেয়ো রোড থেকে লালবাজার সেন্ট্রাল লক আপ! অন্যদিকে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসার কারণেই বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে রাজ্যে এই হিংসা বন্ধ না হলে বিধানসভার অধিবেশনে যাবেন না তাঁরা কেউ। আজই বিধানসভাইয় দিলীপ ঘোষ বাকিদের নিয়ে পরিষদের বৈঠক করেন। বিধানসভাতে উপস্থিত থাকলেও সেই বৈঠক এড়িয়ে যান মুকুল রায়। বৈঠকের পরেই বিধানসভা বয়কটের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, “রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি চলছে। যতদিন পর্যন্ত অশান্তি বন্ধ হচ্ছে, বিধায়কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত কোনও বিজেপি বিধায়ক বিধানসভা অধিবেশনে শামিল হবে না। ” এমনকী স্পিকার নির্বাচনেও বিজেপির সদস্যরা সামিল হবেনা বলেই আজ জানিয়েছেন তিনি।