দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই খুলবে স্কুল, আশ্বাস শিক্ষামন্ত্রীর

নজরবন্দি ব্যুরো: দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ, দ্রুত আইনি জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ হবে। এমনটাই আশ্বাস দিলেন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রবিবার তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন , ‘আগামী মাসের শুরুতেই রাজ্য প্রথম সাঁওতালি ভাষায় শিক্ষক নিয়ােগের প্রক্রিয়া শেষ হবে । একইসঙ্গে ১৬,৫০০ শিক্ষক শূন্যপদে দ্রুত নিয়ােগ শুরু হবে। সম্পূর্ন ভাবে আদালতের রায় মেনে শিক্ষক নিয়োগ হবে।’ সেইসঙ্গে পরিস্থিতি অনুকূল হলে স্কুল খোলা হবে, ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর। এছাড়াও তিনি এদিন অভিযোগ করেন বিজেপি ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি করছে।
আরও পড়ুন: ঘরে পদ্ম ফোটাতেই কি মমতার ‘হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রাম ‘ সভা এড়াচ্ছেন শিশির – দিব্যেন্দু?
এদিন শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা তো করলেন যদিও প্রশ্ন উঠছে , ১৬ হাজার ৫০০ শিক্ষক শূন্যপদে নিয়ােগের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা গােটা প্রক্রিয়া জল ঢেলে দেবে না তাে ? ২০১৭ সালে টেটের আবেদন নেওয়ার পর ২০২১ সালে এসে যদি পরীক্ষা নেওয়া হয় , তাহলে নিয়ােগ হবে কবে ? আগামী মাসে নির্বাচনী বিধি ঘােষণা হয়ে গেলে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে বাতিল হওয়া নিয়ােগ আদৌও শেষ হবে ? ১৯৯৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত একটানা শিক্ষক নিয়ােগ হলেও তৃণমূল সরকারের আমলে তা হয়নি । ভােটের মুখে পরীক্ষা নিয়ে নিয়ােগ প্রক্র্যিা আদৌও শেষ করা সম্ভব ? প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীদের ।
এছাড়া শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘আমরা সাঁওতালি ভাষায় যে শিক্ষক নিয়ােগ করছি , ৪৭৫ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়ােগ আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যে শেষ হয়ে যাবে । আমরা পরীক্ষার দিন জানিয়ে দিয়েছি । ২২ টি কেন্দ্র পরীক্ষা নেওয়া হবে । ‘ প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়ােগের প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন , ‘ ‘ আদালতের যে সমস্ত নির্দেশাবলী হয়েছে , সেই নির্দেশ অনুযায়ী আমরা বলেছি , প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং এসএসসিকে , তারা যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করে । ‘ ‘
শিক্ষক নিয়ােগকে কেন্দ্রকে করে একের পর এক মামলার প্রসঙ্গ তােলেন তিনি । বলেন , ‘ অপপ্রচার , মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করছে । সেটা সঠিক নয় । আদালতের নির্দেশে ১৬,৫০০ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়ােগের প্রক্রিয়া শেষ হবে । আগামী ৩১ জানুয়ারি প্রাথমিক টেটের যে পরীক্ষা বাকি আছে , আড়াই লক্ষ আবেদনকারীর পরীক্ষা হবে । ‘
অন্যদিকে পরিস্থিতি অনুকূল হলে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে যতদিন না স্কুল খোলে ততদিন অনলাইনেই পঠন পাঠন চলবে বলে জানান তিনি।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমরা স্কুল খোলা নিয়ে আলাপ আলোচনা করছি। সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্যানিটাইজ করা হয়েছে। যে স্কুলগুলি খোলা হয়েছিল, সেগুলি ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে পঠনপাঠন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ রয়েছে। অনলাইন ক্লাস, ফোন, টিভি মারফৎ পঠনপাঠন চলছে”।
প্রসঙ্গত, করোনা আবহে প্রথম থেকেই বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো। এদিকে ইতিমধ্যেই ঘোষিত হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের দিন সূচি। করোনাকালে ‘সঙ্কুচিত’ হয়েছে সিলেবাসও। তবে পরীক্ষার আগে কবে স্কুল খুলবে, আদৌ খুলবে কিনা, খুললেও প্রজেক্ট ও প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসের সুযোগ মিলবে কিনা, তা নিয়ে শিক্ষামহল থেকে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। ধন্দে পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকরাও। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ, পাশাপাশি করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বিজেপি অযথা রাজনীতি করছেন বলেও পার্থ অভিযোগ করেন।