অধরা কেরিয়ারের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম, বিদায় বেলায় কেঁদে ফেললেন সানিয়া
out of reach Sania's last career Grand Slam,

নজরবন্দি ব্যুরোঃ কিছু গল্পের শেষে থাকে একরাশ যন্ত্রণা। হেরে যাওয়ার জন্য চোখের জল ফেলা। সানিয়া মির্জার ক্ষেত্রেও তো তেমনটাই হল। কেরিয়ারের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেলতে নেমে শেষরক্ষা করতে পারলেন না। পার্টনার রোহন বোপান্নাকে নিয়ে রানার্স হয়ে ভারতের টেনিস সুন্দরীকে সন্তুষ্ট থাকতে হল।

আরও পড়ুনঃ মিসড কলে নথিভুক্ত ১৮ কোটি কর্মী কোথায়? খুঁজতে বিশেষ দল গড়ল বিজেপি!

সপ্তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা হল না সানিয়ার। ফাইনালে ব্রাজিলের স্টেফানি-মাতোস জুটির কাছে সানিয়ারা স্ট্রেট সেটে হারলেন সানিয়ারা। খেলার ফল ৬-৭ (২-৭), ২-৬। ৩৬ বছরের সানিয়া ৪২ বছরের বোপান্নাকে নিয়ে জীবনের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠবেন, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সেটা কল্পনাও করা যায়নি। কিন্তু টুর্নামেন্টের অবাছাই ভারতীয় জুটি ফাইনালে উঠে একপ্রকার অসাধ্যসাধন করেছে।

অধরা কেরিয়ারের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম, বিদায় বেলায় কেঁদে ফেললেন সানিয়া
অধরা কেরিয়ারের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম, বিদায় বেলায় কেঁদে ফেললেন সানিয়া

কিন্তু ফাইনালে ব্রাজিলিয়ান জুটির কাছে ১ ঘণ্টা ২৭ মিনিটের হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে পরাজিত হতে হল ভারতীয় জুটিকে।কোর্টে প্রতিপক্ষকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে না চাওয়া সানিয়া শেষ বেলায় শুধু কাঁদলেনই না, তাঁর অসংখ্য অনুরাগীদেরও কাঁদালেন। কথা বলার সময় বার বার চোখের জল মুছেছেন।

অধরা কেরিয়ারের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম, বিদায় বেলায় কেঁদে ফেললেন সানিয়া

বার বার তাঁর গলা বুজে এসেছে। তবু স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করেছেন। পারেননি।ফাইনালের পর সানিয়া বলেছেন, ‘‘আমি কাঁদছি। এটা আসলে খুশি অশ্রু। চোখের এই জল দুঃখের নয়। চাইলে আরও গোটা দুয়েক প্রতিযোগিতা খেলতেই পারতাম। ২০০৫ সালে মেলবোর্ন থেকেই টেনিস যাত্রা শুরু করেছিলাম।

অধরা কেরিয়ারের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম, বিদায় বেলায় কেঁদে ফেললেন সানিয়া

অধরা কেরিয়ারের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম, বিদায় বেলায় কেঁদে ফেললেন সানিয়া

তখন আমার বয়স ছিল ১৮। সেরিনা উইলিয়ামসের সঙ্গে খেলেছিলাম। আমার জীবনে রড লেভার এরিনার আলাদা জায়গা রয়েছে। গ্র্যান্ড স্ল্যাম কেরিয়ার শেষ করার জন্য এর থেকে ভাল জায়গা আমার কাছে নেই।’’