বাংলার রাজনীতিতে মেরুকরণ ঘিরে বিতর্কের আবহে আসানসোলের কুলটিতে বিজেপির সভা থেকে কড়া বার্তা দিলেন মিঠুন চক্রবর্তীর। শনিবার ‘পরিবর্তন সংকল্প’ সভায় তিনি বলেন, “অত সহজ নয় বাংলাকে বাংলাদেশ করে দেওয়া। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আমরা বাংলাকে বাঁচাব।” তাঁর বক্তব্যে নিরাপত্তা, পরিচয় ও ঐক্যের প্রশ্ন উঠে আসে।
সভায় মিঠুনের সঙ্গে ছিলেন বিজেপির জেলা ও স্থানীয় নেতৃত্ব—আসানসোল সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা এবং বিধায়করা। প্রায় আধঘণ্টার বক্তৃতায় তিনি বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, রাজ্যের সামাজিক পরিবেশ বদলে যাওয়ার আশঙ্কা দেখছেন তিনি। নিজের পরিচিত সংলাপের ঢঙে তিনি সমর্থকদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করেন।

মিঠুন স্পষ্ট করেন, বিজেপি কোনও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নয়। তাঁর কথায়, “ভারতে থেকে যারা দেশের ক্ষতি করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধেই অবস্থান।” তিনি রাজনৈতিক বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান এবং দাবি করেন, ক্ষমতায় এলে নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে পারবে একমাত্র বিজেপিই।
মহিলাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সামাজিক প্রকল্প নিয়ে বিভ্রান্ত না হতে। “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আপনাদের প্রাপ্য,”—এ কথা বললেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে তিনি সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা তুলে ধরে নীতিগত রাজনীতির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মিঠুন বলেন, সংখ্যালঘু–সংখ্যাগুরু নির্বিশেষে যে কোনও নাগরিকের উপর অন্যায় গ্রহণযোগ্য নয়। “যা হচ্ছে, তা ঠিক নয়,”—এমন মন্তব্য করে তিনি সতর্ক করেন, সময় থাকতেই সবাইকে সচেতন হতে হবে।


এই বক্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে—বিশেষ করে আসানসোল–কুলটি অঞ্চলে বিজেপির বার্তা ও সংগঠনী কৌশল কীভাবে প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে।









