নজরবন্দি ব্যুরোঃ বিশ্বকাপের প্রধান তিন তারকা। একজন সার্বিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে গোড়ালির চোট, গ্রুপ পর্বে পরের দু’টি ম্যাচে খেলতে না পারার যন্ত্রণার মধ্যেও মুখে তৃপ্তির হাসি তিনি হলেন নেইমার। আর একজন সি আর সেভেন, পর্তুগালকে জিতিয়ে হাসছেন তিনিও। আর এক জন মেসি, বিশ্বকাপে ৩৬ বছরের অভিশাপ থেকে মুক্ত হওয়ার উদগ্র বাসনা।
আরও পড়ুনঃ মারাদোনার সাথে মেসির তুলনা যারা করেন তাঁরা ফুটবলটা বোঝেন না, বিস্ফোরক দিয়গো পুত্র
বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার অগ্নিপরীক্ষা। আর বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি আর্জেন্টিনা সমর্থকদের প্রত্যাশার পাহার প্রমাণ চাপ সেই একটা মানুষের কাঁধেই। সেই বাঁ পায়ের জাদু দেখার অপেক্ষায় আজ রাত জাগতে চলেছে বুয়েনস আইরস থেকে মেসি ‘পাগলরা’। তিন তারকার মধ্যে পার্থক্য প্রধানত এটাই।

প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে দল হারলেও একমাত্র গোলটি এসেছিল তার পেনাল্টি থেকেই। কিন্তু সেই ম্যাচ যে হেরে মাঠ ছাড়তে হবে তা স্বপ্নেও ভাবেননি মেসি। ম্যাচ শেষে চোখের কোণ ভিজেছিল আর্জেন্টাইন অধিনায়কের। তারপর মাঝের কয়েকটা দিন শুধু চোয়াল চাপা লড়াই।
কারণ মেক্সিকো ম্যাচে কোনও অঘটন মানেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের টিকিট কার্যত পাকা হয়ে যাওয়া। তাই হয়তো হাসি নেই মেসির মুখে। অথচ তিনি বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফুটবলার। বাঁ পায়ের জাদুতে সম্মোহিত করে রাখেন কোটি কোটি ভক্তকে। সেই ২০০৬ সালে প্রথম বিশ্বকাপ থেকে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা নিয়ে মাঠ ছাড়ার যে পর্বের সূচনা হয়েছিল, তা এই কাতারেও দেখাচ্ছে মেসিকে।
স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার লড়াই, ভরসা সেই বাঁ পায়ের জাদু
মারাদোনার প্রয়াণ দিবসে দলকে পেপ টক দিয়েছেন লিও। নিজের যাবতীয় অস্ত্রেও শান দিয়েছেন এলএমটেন। তবে সব কিছুর পরও ওই ১০ নম্বর জার্সি পড়া লোকটা জানেন ফুটবল বিশ্বের নজর আজ তার উপর। তাই হোটেলের সামনে প্রথম ম্যাচের আগে যে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা নাচে-গানে মাততেন তারাও উধাও। অনেকটা যেন ঝড়ের আগে নিস্তব্ধতা। এখন দেখার সেই উন্মাদনা ফের বিশ্বকাপে ফিরে আনতে পারেন কি না এলএম টেন। অপেক্ষায় গোটা বিশ্বের নীল সাদা জার্সির ফ্যানরা।