নজরবন্দি ব্যুরো: প্রয়াত হলেন অলিম্পিয়ান ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সমর ব্যানার্জি। ময়দানে যিনি বদ্রু নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। গত ২৭ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অ্যালঝাইমার্স, উচ্চ রক্তচাপ এবং অ্যাজোটেমিয়া নিয়ে। টানা ২৪ দিনের লড়াই থামল আজ ভোররাত ২ টো ১০ মিনিটে। এসএসকেএম হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
আরও পড়ুন: এভাবেও ফিরে আসা যায়, ৩৯ বছরে কামব্যাক করলেন বাংলার ঝুলন
গত ২৭ জুলাই সকালে নিজের বাড়িতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এই প্রাক্তন অলিম্পিয়ান ফুটবলার।বাড়িতেই বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থার অবনতি দেখে পরিবারের তরফে বিষয়টি জানানো হয় মোহনবাগান ক্লাবকে। সবুজ-মেরুনের উদ্যোগে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভর্তি করা হয় কলকাতার বাঙ্গুর হাসপাতালে। হাসপাতালে তাঁর জন্য আলাদা মেডিক্যাল বোর্ডও তৈরি হয়। দু’জন নিউরোলজিস্টও তাঁর চিকিত্সা করছিলেন।
সিটি স্ক্যানে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণও দেখা যায়। এর পর বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমআর বাঙ্গুর নিউরোসায়েন্সে স্থানান্তরিত করা হয়। গত কয়েকদিন ধরেই সঙ্কটজনক অবস্থায় ছিলেন বদ্রু বন্দোপাধ্যায়। রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে। তবে শুক্রবার মধ্যরাতে চিকিত্সকদের সমস্ত প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে চিরবিদায় নিলেন কলকাতা ময়দানের বর্ষীয়ান এই ফুটবলার। চলতি বছরের শুরুতেই সুভাষ ভৌমিককে হারিয়েছে ময়দান। তারপর সুরজিত্ সেনগুপ্তকেও হারাতে হয়েছে। আর এবার সমর (বদ্রু) বন্দ্যোপাধ্যায়।
পিকে ব্যানার্জি, চুনী গোস্বামী, সুভাষ ভৌমিক, সুরজিত্ সেনগুপ্তর পর বাংলার ফুটবল হারাল আরও এক নক্ষত্রকে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে কলকাতা ময়দানে। ১৯৩০ সালের ৩০ জানুয়ারি বদ্রুর জন্ম হাওড়ার বালিতে। খেলাধুলো করলেও পড়াশোনাতে কোনও দিন পিছিয়ে ছিলেন না বদ্রু। আরজি কর মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাস করেন। তা সত্ত্বেও বদ্রু ফুটবলকেই বেছে নিয়েছিলেন।
৯২ বছর বয়সে প্রয়াত মোহন বাগান ক্লাবের কিংবদন্তী ফুটবলার সমর ব্যানার্জি
১৯৫২-৫৯ সাত বছর মোহনবাগানের হয়ে খেলেছেন বদ্রু। ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিকে দেশের হয়ে খেলেছিলেন প্রাক্তন স্ট্রাইকার। সে বছর অলিম্পিকে চতুর্থ হয় ভারত।কেরিয়া জুড়ে সাফল্য কিছু কম পাননি বদ্রু। ১৯৫৯ সালে মোহনবাগান থেকেই অবসর তিনি নেন। আর আজ সেই বদ্রু চিরতলে বিদায় নিলেন খেলার ময়দান থেকে।