ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া–র শারীরিক অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়েছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে অত্যন্ত জটিল ও সংকটজনক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসকদের মতে, আপাতত তাঁর অবস্থার উন্নতির কথা বলা যাচ্ছে না।
শনিবার গভীর রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল–এ কোনও পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সাংবাদিকদের সামনে আসেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, “খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থাকে স্থিতিশীল বলা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি এখনও সংকটজনক।”
চিকিৎসকরা জানান, ২৩ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। সেই কারণেই তাঁকে ধাপে ধাপে কেবিন থেকে সিসিইউ এবং পরে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা চলছে।
এদিকে মায়ের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে শনিবার রাতে হাসপাতালে যান তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান। দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পর এটিই তাঁর দ্বিতীয়বার মাকে দেখতে যাওয়া। জানা গিয়েছে, তিনি দুই ঘণ্টারও বেশি সময় হাসপাতালে ছিলেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।
মেডিক্যাল বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশ-বিদেশের একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত। এই চিকিৎসক দলে রয়েছেন তাঁর পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমানও। পুরো চিকিৎসা প্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি সমন্বিত বোর্ডের তত্ত্বাবধানে।


বর্তমানে অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনেই চলছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা। পরিস্থিতির উপর সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁর শারীরিক অবস্থার পরবর্তী আপডেটের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল ও দেশবাসী।










