সায়নী-দেবলীনাকে ভেবেচিন্তে কথা বলার পরামর্শ কাঞ্চনার, নিরাপত্তা ইস্যুতে যুক্তি সায়নীর

সায়নী-দেবলীনাকে ভেবেচিন্তে কথা বলার পরামর্শ কাঞ্চনার, নিরাপত্তা ইস্যুতে যুক্তি সায়নীর
সায়নী-দেবলীনাকে ভেবেচিন্তে কথা বলার পরামর্শ কাঞ্চনার, নিরাপত্তা ইস্যুতে যুক্তি সায়নীর

নজরবন্দি ব্যুরো: বিতর্ক জিইয়ে রেখে দীর্ঘদিন ধরে একই বিষয়ে আলোচনা বাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছেন একে অপরে। নির্বাচনের আগে হঠাৎই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা এবং তৃণমূলের নেতা রুদ্রনীল ঘোষ বিজেপিতে যোগ দান করেছিলেন। যে রুদ্রনীল একদিন সদর্পে বলতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই তাঁকে জঙ্গল মহলের গোলাগুলির কথা শুনতে হয়না,তাঁকে সম্মান না করে যাবেন কোথায়, সেই রুদ্রনীলের এখন মনে হয় তৃণমূল মাফিয়ারাজ করে। বছরে বছরে এই বক্তব্য বদল এবং রাজনৈতিক দলবদল প্রসঙ্গে জল গড়িয়েছে বহুত দুর।

আরও পড়ুনঃ টলিউডে মাফিয়ারাজ নিয়ে রুদ্রনীলের অভিযোগ নস্যাৎ করলেন অরিন্দম ও সোহম

নাম না করে রুদ্রনীল প্রসঙ্গে সায়নী জানিয়েছিলেন হাতের ৫ আঙ্গুল সমন হয়না কখনো, পরে যদি কখনো কোনো অভিনেতা নিজের মতাদর্শ বদলান সেটা তাঁর ব্যাক্তিগত বিষয়, এর জন্য তাঁর পেশা কে আক্রমণ করবেন না। এরপর তিনি বাংলায় সংস্কৃতির নামে জয় শ্রী রাম ধ্বনি নিয়েও মন্তব্য করেন। এরপর থেকে কার্যত এককথায় শিরোনামে তিনি। একাধিবার আক্রমণ, হুমকি এমনকি থানায় কেস করা হয়েছে ধর্মীয় ভাবাবেগ নিয়ে খেলার অপরাধে। অন্যদিকে দেবলীনা দত্ত। তিনিও জনপ্রিয় অভিনেত্রী।

গো মাংস প্রসঙ্গে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। অতিষ্ঠ হয়ে দুভাগে ভাগ হয়ে যায় টলিপাড়া। দুজনকেই বিভিন্ন ভাবে একাধিক হুমকির সম্মুখীন হতে হয়েছে। এসব বিষয়ের পর উভয়কে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। আর তা নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক কে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছেন অভিনেত্রী এবং বর্তমানের বিজেপির সমর্থক কাঞ্চনা মৈত্র। তিনি স্পষ্ট বলেছেন কাজ করতে হলে ভাষণ না দিয়ে কাজ করুক দেবলীনা, সায়নী। আমরা কর্মী। আমার তো নিরাপত্তা লাগেনি। কাজ করতে হলে ময়দানে গিয়ে, গ্রামে গিয়ে, ঘুরে কাজ করতে হয়।

মন্তব্য সবাই করতে পারে। এই প্রসঙ্গে কাঞ্চনা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রীর তুলনা টেনেছেন এবং একাধিক পয়েন্ট দেখিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন মাননীয় এবং তাঁর প্রশাসন অনেক পিছিয়ে ” মোদী জি” এর থেকে। এসবের উত্তর দিয়েছেন সায়নী নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে। তাঁকে যেভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য মার্ক করে দেওয়া হচ্ছে “তৃণমূলের সমর্থক” হিসেবে, তা নিয়েও যুক্তি দিয়েছেন। বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন নিরাপত্তার। রেখেছেন।

যখন আমার ঠিক মনে হয়নি প্রতিবাদ করেছি। এতে রাজনৈতিক অভিসন্ধির কী আছে।নিরাপত্তা প্রসঙ্গে সায়নী বলেন তাঁকে এও শুনতে হয়েছে যে, ” রাত ২ টোয় বাড়ি ফেরে, মারতে ২ মিনিট লাগবে না” সেই জায়গায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পাশে থেকেছেন। এতেও যদি মানুষ সমস্যা দেখেন এবং ইস্যু বানান তাতে তাঁর কিছু করার নেই বলেও জানান তিনি।