মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরে রবিবার সকালে নাটকীয় পরিস্থিতি। সদ্য তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ুন কবীর–এর বাড়িতে হানা দেয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। অভিযোগ, হুমায়ুনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করেছেন তাঁর ছেলে গোলাম নবী আজাদ ওরফে রবীন। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুমায়ুন কবীরের পার্সোনাল সিকিউরিটি অফিসার জুম্মা খান এ দিন শক্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর দাবি, দেশের বাড়ি যাওয়ার জন্য ছুটি চাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন রবীন। অভিযোগ, প্রকাশ্যে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়।

নিরাপত্তারক্ষীর বক্তব্য অনুযায়ী, হুমায়ুন কবীরের দপ্তর বাড়ির একতলায় এবং সেখানে সাধারণ মানুষের যাতায়াত লেগেই থাকে। সেই জায়গাতেই মারধরের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হতেই তদন্তে নামে পুলিশ এবং শক্তিপুরের বাড়িতে গিয়ে প্রায় আধ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিযুক্তকে।
ঘটনার সময় হুমায়ুন কবীর ছিলেন বহরমপুরে। সেখান থেকেই তিনি মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁর হুঁশিয়ারি, “পুলিশ যদি আমার ছেলে, স্ত্রী বা পরিবারের কারও গায়ে হাত তোলে, তাহলে পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করা হবে। প্রয়োজনে বহরমপুর স্তব্ধ করে দেব।”
এই ঘটনায় যদিও জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তা প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। এস সানিরাজ, মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার শুধু জানিয়েছেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”


প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন হুমায়ুন কবীর। সেই ঘটনার পর মেরুকরণের রাজনীতির অভিযোগে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও তিনি এখনও ভরতপুরের বিধায়ক পদে রয়েছেন।
তৃণমূল থেকে বহিষ্কারের পরই হুমায়ুন কবীর ‘জনতা উন্নয়ন পার্টি’ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা করেন। এমনকি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী ঘোষণাও শুরু করেছেন তিনি। এর মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে এই সংঘাত নতুন করে মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে উত্তেজনা বাড়াল।









