গরুপাচার ও কয়লা কান্ডে চিরুনি তল্লাশি শুরু ED’র।

নজরবন্দি ব্যুরো: কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআইয়ের পর এবার তদন্তে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। সোমবার সকাল থেকে কলকাতার বাঙুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান শুরু করেছে তারা। একইসঙ্গে হুগলির কোন্নগরেও চলছে হানা। এদিন সকালেই প্রায় দু’ প্ল্যাটুন সিআরপিএফ সঙ্গে নিয়ে ইডির ১২টি দল অভিযানে বের হয়। বেলা ১০টা থেকে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
আরও পড়ুন: ২০২১ এর ক্যালেন্ডার দেখেছেন? যেন ১৯৭১ সালের প্রতিবিম্ব!
গরুপাচার ও কয়লা কান্ডে চিরুনি তল্লাশি শুরু ED’র। একটি দল পৌঁছেছে বাঙুর অ্যাভিনিউয়ে ব্যবসায়ী গণেশ বাগাড়িয়ার বাড়িতে। কয়লা পাচারকাণ্ডে এর আগেই গণেশের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, কয়লা-কাণ্ডের কিং পিন অনুপ মাজি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী এই বাগাড়িয়া। তাঁর মাধ্যমেই বেআইনি কয়লা পাচারের অর্থ বিভিন্ন জায়গায় লগ্নি করেছেন লালা। যদিও সিবিআইয়ের আতস কাঁচের নিচে আসার পরই দুবাইয়ে পালিয়ে যান তিনি। এদিন তাঁর বাড়িতেই হানা দিল ইডি।
অন্যদিকে তদন্তকারীদের অপর একটি দল পৌঁছেছে হুগলির কোন্নগরে সঞ্জয় সিং নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সঞ্জয় সিং কয়লা পাচারকাণ্ডের আরেক প্রধান অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী। লালা ও রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম সেতু এই বিনয়। তাঁর মাধ্যমেই কয়লা পাচারের কোটি কোটি টাকার কাটমানি পৌঁছত প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের একাংশের কাছে। সেই বিনয়েরই ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিং। বড়বাজারে তাঁর কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ কলকাতা ও মহানগর সংলগ্ন একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়েছে।
ইডি সূত্রে খবর, কয়ালা পাচার-কাণ্ডে এ রাজ্যের সঙ্গে দুবাই-যোগ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। গোয়েন্দারা মনে করছেন, ইসিএল, সিআইএসএফ, রেলকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পাচারচক্র চালাতেন লালা। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকেও সঙ্গে নিয়েছিলেন তিনি। তাঁদের মাধ্যমেই বিভিন্ন ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে কোটি কোটি টাকা হাতবদল করেছেন লালা। মনে করা হচ্ছে, কয়লা পাচারের টাকা দুবাইয়েও পৌঁছে গিয়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর মাধ্যমেই।
গরুপাচার ও কয়লা কান্ডে চিরুনি তল্লাশি শুরু ED’র। গণেশ বাগাড়িয়া ছাড়াও গড়িয়াতেও এক ইসিএলকর্মীর বাড়িতে চলেছে তল্লাশি। কোন্নগরের শাস্তিনগরের বস্ত্রব্যবসায়ী নীরাজ সিংহ, অমিত সিংহের বাড়িতেও চলেছে অভিযান। কয়ালা খাদান থেকে পাচারের সঙ্গে সরাসরি জড়িত রয়েছেন ওই সব ব্যবসায়ীরা। অভিযানে প্রত্যেকের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে নথিপত্র, ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের লোকজনকে।