নজরবন্দি ব্যুরোঃ মারন করোনার কথা মাথায় রেখে গত দুটি মরশুমে নিজেদের নিয়ম কিছুটা শিথিল করেছিল এএফসি। কিন্তু বর্তমানে যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে দেশের করোনা পরিস্থিতি। তাই সেই শিথিলতা দূরে ঠেলে ফের জারি হয়েছে পুরনো নির্দেশাবলী। সেইমতো এএফসির কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতে হলে নুন্যতম ২৭ টি ম্যাচ খেলতে হবে প্রতিটি দলকে।
আরও পড়ুনঃ পলিটব্যুরোর নতুন সংযোজনে বাংলার কোন মুখ? কান্নুরের দিকে তাকিয়ে আলিমুদ্দিন
সেইমতো, লিগের হোম-অ্যাওয়ের পাশাপাশি একটি নিউট্রাল ভেন্যুতে আর একটি ম্যাচ খেলিয়ে মোট ২৭ টি ম্যাচ করার পরিকল্পনা নিয়েছিল এফএসডিএল। তবে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে থাকায় বদল করা হয় পরিকল্পনা। যারফলে এবার ডুরান্ড কাপকে সরকারি প্রতিযোগিতার আওতায় আনতে চায় এফএসডিএল। সেইসঙ্গে দুটি দফায় সুপার কাপ আয়োজনের কথা ও জানা গিয়েছে।
যারফলে এবার থেকে ডুরান্ড খেলা বাধ্যতামূলক আইএসএলের প্রতিটি দলের। এই টুর্নামেন্টে দল নামাতে অস্বীকার করলে, সেই ক্লাবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ফুটবল ফেডারেশন। শোনা যাচ্ছে, আগামী আগস্ট মাস থেকেই শুরু হতে চলেছে ডুরান্ড কাপ। যারফলে, আবারও পুরনো জৌলুস নিয়ে ময়দানে জনপ্রিয়তা পাবে এই ঐতিহ্যশালী টুর্নামেন্ট। যা শুনে খুশি আপামর ফুটবলপ্রেমী মানুষ।
ডুরান্ড খেলা বাধ্যতামূলক আইএসএলের প্রতিটি দলের, পরিকল্পনা ফুটবল সংস্থার

শুধু এই টুর্নামেন্ট ই নয়, ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা ও করা হয়েছে এফএসডিএল ও আইএফের তরফে। সেই অনুসারে আগামী আগস্ট মাস থেকেই শুরু হবে ডুরান্ড কাপ। এরপরে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসে আয়োজিত হবে সুপার কাপের কোয়ালিফায়ার। তারপর অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত টানা চলবে আইএসএল। মার্চের শেষের দিক থেকে ফের চালু হবে সুপার কাপ। সেখানে আয়োজিত হবে টুর্নামেন্টের মূল পর্বের ম্যাচ গুলি। এটি বাস্তবায়িত হলে, এক মরসুমে খুব সহজেই সম্পন্ন হবে ২৭ টি ম্যাচের কোটা। পাশাপাশি এএফসির টুর্নামেন্টের যোগ্যতা অর্জনে ও দেখা দেবেনা কোনও সমস্যা।