ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে মিলবে ক্ষতিপূরণ, ঘোষণা AIIMS-এর ডিরেক্টরের

নজরবন্দি ব্যুরো: রবিবারই ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিন কোভাক্সিনের জরুরী ব্যবহারের চূড়ান্ত অনুমোদন মিলেছে৷ যদিও এই বিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন সামনে এসেছে যা নিয়ে AIIMS-র ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তিকে কোভ্যাক্সিনের টিকা দেওয়া হবে। তার যে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেলে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। এটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সময়ও করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক দুর্ঘটনা উত্তরপ্রদেশে! শ্মশানে শব-মিছিলে ছাদ ভেঙে মৃত্যু ২২ জনের!
অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর ভারতের ভ্যাকসিনের জরুরী অনুমোদনের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন যে “ইন্ডিয়া বায়োটেকের তৃতীয় পর্যায়ের কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষা এখনও করা হয়নি।” তাঁর বক্তব্য, কোভাক্সিনের অনুমোদন বিপজ্জনক হতে পারে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধনের বয়ান চান তিনি। শশী বলেছেন, “ট্রায়াল সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিনের ব্যবহার এড়ানো উচিত। ভারতের অস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ব্যবহার করা উচিত”।
অন্যদিকে এইমস-এর ডিরেক্টর বলেছেন, ব্রিটেনে নতুন স্ট্রেনের প্রভাব পড়লে কোভ্যাক্সিন শুধুমাত্র ব্যাকআপ হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে এবং এর কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা যখন কোনও ভ্যাকসিন বিবেচনা করি তখন সুরক্ষার বিষয়ে সব থেকে বেশি জোর দেওয়া হয়৷ হয় এবং তাই ভ্যাকসিনটি নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা করা হয়৷ তবেই তার অনুমোদন মেলে।
ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে মিলবে ক্ষতিপূরণ, গুলেরিয়া বলেছেন যে, এটি আমাদের দেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন এবং নতুন বছর শুরু সঙ্গে খুবই সুখবর। দুটি ভ্যাকসিনই ভারতের তৈরি। এগুলির খরচও নাগালের মধ্যে থাকা উচিৎ৷ ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই টিকা দেওয়া শুরু করা উচিত। গুলেরিয়া জানান যে, দেশে করোনার সংক্রমণ যদি হঠাৎ করে বেশি মাত্রায় বৃদ্ধি পায়, তাহলে কোভ্যাক্সিন ব্যবহার করা হবে৷ সিরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর হচ্ছে, তা বুঝে নিয়ে ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিন ব্যাকআপ হিসেবেও ব্যবহার করা হতে পারে৷