নজরবন্দি ব্যুরো: রাজনীতির উর্দ্ধে যে মানবিকতা সবার আগে তা ফের একবার প্রমান করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে নিহত এক বিজেপি নেতার স্ত্রীকে মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে চাকরিতে নিয়োগ করল রাজ্য সরকার।জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে নিহত বিজেপি বুথ সভাপতি সৈকত ভাওয়ালের স্ত্রী চাকরি পেলেন দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে শুরু নয়া সমীকরণ? প্রকাশ্যে বিমলকে সমর্থন জন বার্লার! জল্পনা তুঙ্গে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সৈকতের বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী নবপর্ণার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়ে এলেন নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন টিএমসিপি রাজ্য সভাস্বপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। এদিকে এই কঠিন পরিস্থিতিতে নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে গোটা পরিবার।
যদিও রাজনৈতিক মহলের দাবি অনুযায়ী, একুশের ভোটের আগে রাজ্যের শাসকদলের এমন একটি পদক্ষেপ মাস্টারস্ট্রোক। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর হালিশহর এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে বেরিয়ে গণপিটুনিতে খুন হন বিজেপির বুথ সভাপতি, তরুণ সৈকত ভাওয়াল। ঘিরে ধরে হকিস্টিক, লাঠি দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় অভিযোগ। গোটা ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের।
যদিও তদন্তের গতি দ্রুত থাকায় ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তদের ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এর তিন সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই সৈকত ভাওয়ালের বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক।
রাজনীতির উর্দ্ধে মানবিকতা , এ বিষয়ে মৃতের স্ত্রী নবপর্ণার বক্তব্য, ”এত কম সময়ের মধ্যে আমাদের পরিবারকে এভাবে সাহায্য করার জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।” সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে নবপর্ণা নাকি জানিয়েছেন যে সৈকতের হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক নয় বলে মনে করেন তিনি।