নজরবন্দি ব্যুরো: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের কাছ থেকেই প্রথম কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় ভদ্রর খোঁজ পায় সিবিআই। তারপর থেকেই সিবিআইয়ের স্ক্যানারে ছিলেন তিনি। এর আগে তাঁকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের পর বৃহস্পতিবার সকালে হানা দেয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর বাড়ি ও ফ্ল্যাটে চলে তল্লাশি অভিযান। দুপুরেই সুজয়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় অফিসাররা। বাজেয়াপ্ত নগদ টাকা, দুটি ফোন, সহ একাধিক তথ্য। যা দুর্নীতির তদন্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সুজয় ভদ্র বলেন, সিবিআই জানায়নি কি কি দেখতে এসেছে। একটা সার্চ ওয়ারেন্ট দেখালেন। আমি লিখলাম সিন। সার্চ করলেন। ফোন দুটি নিয়েছেন। সঙ্গে কিছু টাকা নিয়েছে সিবিআই। তবে সেই টাকার অঙ্ক কত? তা স্পষ্ট করে জানালেন না তিনি। বরং জানালেন, পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য টাকা তুলেছিলেন। ব্যাঙ্কের নথি দেখিয়ে বেশ কিছু টাকা রেখেছেন।
একইসঙ্গে তিনি জানালেন, তাঁর বাড়ি থেকে একটি অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার করে সিবিআই। তিনি জানিয়েছেন, সেই অ্যাডমিট কার্ড তাঁরই এক আত্মীয়ের। পুরসভায় পরীক্ষা দিয়েছিল ওই ব্যক্তি। সেটা সিবিআই বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গেছেন। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দুই বার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছেন কালীঘাটের কাকু। তাঁর বাড়িতে অভিযানের পর অনেকেই মনে করেছিলেন তথ্য মিলবে। কিন্তু সেভাবেই কিছুই সিবিআই হাতে পায়নি এমনটাই দাবি করলেন সুজয় ভদ্র।
বাজেয়াপ্ত নগদ টাকা, দুটি ফোন, কী পেল সিবিআই?
এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। তাঁর মধ্যে রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রাক্তন সচিব। একইসঙ্গে বেশ কয়েকজন পার্থ ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাদের বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চলে বলে জানা যায়। সিবিআইয়ের সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে সুকান্তর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।