নজরবন্দি ব্যুরোঃ করোনায় আক্রান্ত দেখভালের সকলেই, আক্রান্ত কন্যা সহ সর্বক্ষণের সঙ্গীও, তবুও হাসপাতালে যেতে নারাজ বুদ্ধবাবু। অনেক চেষ্টা করেও হার রাজি করানো যায়নি, তবে আপাতত ঘরেই স্থিতিশীল তাঁর শারীরিক অবস্থা। গতকাল রাতে অক্সিজেনের মাত্রা একবার ৮৬তে নেমে গেলেও প্রবল জেদে কিছুতেই হাসপাতালে যেতে রাজি হননি। রাতের খাওয়ার পর অক্সিজেন স্যাচুরেশন বাড়ে। আপাতত ঘরে থেকেই স্থিতিশীল তাঁর শারীরিক অবস্থা। ভালো আছেন মীরাদেবীও।
আরও পড়ুনঃ ইকো হয়েছে শোভনের-জ্বর কমেছে ফিরহাদের…শুনানির আগে চেকআপ চলছে ৪ হেভিওয়েটের
সিওপিডির কারণে সারাবছর পোর্টেবল অক্সিজেন ব্যবহার করতে হয় বুদ্ধবাবুকে। তাই চিকিৎসকেরা চেয়েছিলেন হাসপাতালে নিয়ে যেতে, তাতে প্রয়োজনে সঠিক পরিকাঠামো পাওয়া যাবে, কিন্তু বুদ্ধবাবুর জেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পেরে ওঠেননি। তাই বাড়িতেই রাখতে হয়েছে তাঁকে।
গত মঙ্গলবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মীরা ভট্টাচার্য। আজকের খবর অনুযায়ী শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে মীরাদেবীর। স্যালাইনের মাধ্যমে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। কোনওরকম সাপাের্ট ছাড়াই তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও স্থিতিশীল।
তবে ঘরে থাকা বুদ্ধবাবুর জন্যে সামান্য চিন্তায় চিকিৎসকেরা। গতকালই কোভিড পজেটিভ হয়েছে কন্যার। তার সঙ্গে বুদ্ধদেবাবুর সর্বক্ষণের সঙ্গী তপনবাবুও করােনায় আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে তাঁর দেখভালের সমস্যা হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। সেই কারণে চেষ্টা করছেন সর্বক্ষণের সুবিধা এবং সঠিক পরিকাঠামো অর্থাৎ হাসপাতালে ভর্তি করতে।
করোনায় আক্রান্ত কন্যা সহ সর্বক্ষণের সঙ্গীও, তবুও হাসপাতালে যেতে নারাজ বুদ্ধবাবু, বুদ্ধবাবুর জেদের কাছে এখনো পর্যন্ত রাজি করাতে পারেননি। তবে সূত্রের খবর আজ আবারও চিকিৎসকেরা চেষ্টা করবেন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য। যাতে প্রয়োজনের সুবিধা তৎক্ষণাৎ পাওয়া যায়। সকলেই প্রার্থনা করছেন যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন তাঁদের প্রিয় কমরেড।