নজরবন্দি ব্যুরো: বাংলার সৌরভ, ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। আর তারপর থেকেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে শুরু রাজনৈতিক টানাপোড়েন। সৌরভকে এবার শেরিফ পদে বসানোর দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। তিনি কটাক্ষ করেছেন, তৃণমূল সরকার সৌরভকে ধরে রাখতে পারেনি।
আরও পড়ুন:ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর সৌরভ, কিছু কী বার্তা দিলেন মহারাজ?
সৌগত রায়ের অবশ্য বক্তব্য, টাকা পেয়েছেন, তাই ত্রিপুরায় গিয়েছেন সৌরভ। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে সুর করেছে কেন এই সিদ্ধান্ত? ২০২১ সালের আগে সৌরভকে সরাসরি বাংলার বিধানসভা ভোটে তাদের মুখ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল বিজেপি। বিভিন্ন টালবাহানা করে তিনি তখন পিছিয়ে যান। তার পর থেকে সৌরভের সঙ্গে বিজেপির ‘দূরত্ব’ তৈরি হয়েছিল সেটা ঠিক। কিন্তু আবার কেন?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এটা একটা বার্তা দু পক্ষ থেকেই। যে এখনও রাস্তা খোলা আছে। সৌরভকে ত্রিপুরা সরকার যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তা তাদের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বলে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। কিন্তু এটাও ঠিক যে, বিজেপির সর্বোচ্চ স্তরের অনুমোদন না-থাকলে তারা সেই প্রস্তাব দিত না।
বিজেপির একটি অংশের বক্তব্য, সৌরভের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক বরাবরই আন্তরিক। আগামী অগস্টে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যসভার ভোট। এ বার বিজেপির যা বিধায়কসংখ্যা, তাতে তারা একটি আসনে নিশ্চিত জিতবে। সেই আসনে কি তারা সৌরভকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রস্তাব করবে? তার চেয়েও বড় কথা, সৌরভ কি তাতে রাজি হবেন?
BJP-র রাজ্যসভার সাংসদ কী সৌরভ! জল্পনা তুঙ্গে

তাঁর রাজনৈতিক বুদ্ধি ক্রিকেটীয় মস্তিষ্কের চেয়েও ক্ষুরধার বলে অনেকে মনে করেন। সে ক্ষেত্রে সৌরভ ওই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নিতে গেলেও দীর্ঘ সময় ধরে ভাবনাচিন্তা করবেন। ফলে আগামী দিনে কী সিদ্ধান্ত নেন মহারাজ সেটার দিকেই নজর থাকবে সবার।