নজরবন্দি ব্যুরোঃ আসন্ন বাদল অধিবেশনে জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য নথিভুক্ত করার জন্য বিল আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং সেনসাস কমিশন অফ ইন্ডিয়ার ‘জনগণ ভবনে’র উদ্বোধন করেন শাহ। সেখানেই নয়া বিলের কথা জানান তিনি। তাঁর মতে, জনগণনাই উন্নয়নের ভিত্তি। সেই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকা জরুরি। কারণ তার উপর ভিত্তি করেই উন্নয়নমূলক নীতি নির্ধারণ করে কেন্দ্র, যাতে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম মানুষের কাছে বহুমাত্রিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ বহু ট্রেন বাতিল বাংলায়, দুর্ভোগ চলবে একটানা ২০ দিন।
অমিত শাহ জানান, জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য নথিভুক্ত করার বিলটি সংসদে পাশ হয়ে গেলে তা রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাজে অনেক সাহায্য করবে। তিনি বলেন, ১৯৬৯ সালের জন্ম ও মৃত্যুর রেজিস্ট্রেশন আইনে সংশোধনী হিসেবে আনা হবে নতুন এই বিল। এই বিলে বলা হয়েছে, জন্ম ও মৃত্যুর যে তথ্য জাতীয় তালিকায় নথিভুক্ত করা হচ্ছে, তার ওপর ভিত্তি করেই ভোটার তালিকা তৈরি করা হবে। সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে কাদের সাহায্য করা হবে, তারও ভিত্তি হবে এই তালিকা।

এর আগে কাউকে ১৮ বছর বয়সে পা রাখার পর ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে হত। তবে নয়া বিল পাশ হলে কোনও নাগরিক ১৮ বছর পার করলেই নির্বাচন কমিশন নিজে থেকে তাঁর নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে বলে দাবি করেন অমিত শাহ। এদিকে মৃত ভোটারের নামে ভুয়ো ভোট দেওয়াও বন্ধ হবে নয়া বিল আইনে পরিণত হলে।
জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত হবে, ভোটার তালিকা স্বচ্ছ করতে ঐতিহাসিক উদ্যোগ কেন্দ্রের।
অমিত শাহ জানান, কেউ মারা গেলে সেই ব্যক্তির নাম আপনাআপনি সরে যাবে ভোটার তালিকা থেকে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত বিলের খসড়া পাঠানো হয়েছে রাজ্যগুলির কাছে। এদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, ঘুরপথে এই বিল নিয়ে এসে দেশ জুড়ে এনআরসি-র পথ সুগম করছে কেন্দ্র।
ভোটার তালিকায় জন্ম এবং মৃত্যুর শংসাপত্র সংক্রান্ত তথ্য তুলে রাখার সপক্ষে শাহ বলেন, “ভোটার তালিায় জন্মমৃত্যুর তথ্য উল্লেখ রাখতে সংসদে নয়া বিল আনা হবে। এর আওতায়, ১৮ বছর বয়সে পা দিলে, আপনা আপনিই, সেই নাগরিকের নাম ভোটার তালিকায় উঠে যাবে। একই ভাবে, কেউ মারা গেলে, সেই তথ্যও পৌঁছে যাবে ইলেকশন কমিশনের হাতে। সেই মতো ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে নাম।”