নজরবন্দি ব্যুরো: চা যে একপ্রকার নেশার মত, একথা অস্বীকার করার জায়গা নেই। শুধু বাঙালি কেন এমন কত মানুষই আছেন যাদের সকাল শুরু হয় চা দিয়ে। সঙ্গে চাই বিস্কুট। গরম গরম চায়ে বিস্কুট ডুবিয়ে না খেলে ঠিক যেন জমে না! কিন্তু জানেন কি এর ফলে নিজেই নিজের কত বড় ক্ষতি করে ফেলছেন। তাই কোনওরকম ঝুঁকি এড়াতে এবং স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে এখনই সচেতন হন।
আরও পড়ুন:ওষুধ ছাড়াই নিয়ন্ত্রণে রাখুন ডায়াবেটিস, জানুন কিভাবে…
সম্প্রতি লন্ডনের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রতি চারজনের মধ্যে একজনের হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। কেন এমন হচ্ছে? গবেষকরা ৮৫০ জনেরও বেশি মানুষের খাদ্যাভাস নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা বেশি জাঙ্ক ফুড খান তাঁরা সকালের জলখাবার, দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারে স্বাস্থ্যকর খেয়েও কোনও উপকার পাননি। এইসকল মানুষের মধ্যে স্ট্রোক, হৃদরোগ এমনকি স্থূলতার ঝুঁকিও বাড়ছে। এমনকি এঁদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি পাওয়া গিয়েছে।
সমীক্ষার ভিত্তিতে গবেষকরা জানাচ্ছেন, অনেকেই আছেন যারা স্বাস্থ্যকর খেয়েও সবসময় অসুস্থ থাকেন বা দুর্বল হয়ে পড়েন। এর কারণ তাঁরা চায়ের সঙ্গে বিস্কুট, কেক, চিপস বা ভাজাভুজি জাতীয় খাবার খান। গবেষকরা মূলত ৮৫৪ জনের খাদ্যাভ্যাসের ওপর কড়া নজর রাখেন। এদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ মানুষ সকালের জল খাবার সঠিক সময় খেয়েছেন। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৬ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেও অত্যাধিক ভাজাভুজি জাতীয় অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে সমস্ত পুষ্টি নষ্ট করে ফেলেছেন। ধীরে ধীরে এঁদের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করছে। ব্রেকফাস্টে মাখন, কেক, বিস্কুট, কেক, কুকিজ, ফল, বাদাম, বীজ, পনির ইত্যাদি খেয়েছেন এমন অনেকেই ছিলেন, যাদের রক্তে শর্করা বেড়েছে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
গবেষকরা আরও জানিয়েছেন যে অনেকেই আছেন যারা সকালে খালি পেটে চা-বিস্কুট খান, এরপর দীর্ঘ সময়ের জন্য আর কোনও খাদ্য গ্রহণ করেন না। এতেও যে শরীরের ক্ষতি হচ্ছে, সহজে বুঝতে পারবেন না কেউ। কিন্তু এবিষয়ে সতর্ক হতে হবে। পাশাপাশি ব্রেকফাস্টে তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পরই চায়ে চুমুক দিতেও মানা করা হয়েছে। তাহলে নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনও বিপদ এড়াতে শীঘ্রই খাদ্যাভাসে বদল আনুন।
চায়ের সঙ্গে ‘টা’ না হলে চলে না, নিজেই নিজের বিপদ ডাকছেন! সতর্ক হন এখনই
