মোদীর স্বপ্নের 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পে সিংহভাগ খরচ বিজ্ঞাপনে! পড়াশোনা কোথায়?
মোদীর স্বপ্নের 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পে সিংহভাগ খরচ বিজ্ঞাপনে! পড়াশোনা কোথায়?

নজরবন্দি ব্যুরোঃ মোদী সরকারের স্বপ্নের প্রকল্প ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’। এই প্রকল্পকে হাতিয়ার করেই সারা দেশের শিশুকন্যাদের সার্বিক বিকাশের অঙ্গীকার করেছে মোদী সরকার। সেই প্রকল্পের প্রচার ও বিজ্ঞাপনে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা হয়েছে, সংসদে পেশ করা প্রতিবেদনে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করল কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি সংসদীয় কমিটি।

আরও পড়ুনঃ তরুণ বিজেপি নেতাকে কুপিয়ে খুন! উত্তাল কর্ণাটক

এই সংসদীয় কমিটির প্রধান আবার বিজেপিরই সাংসদ হিনা গাভিট। আর এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় লোকসভা ও রাজ্যসভা। রাজ্যসভায় এক সাংসদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি জানিয়েছেন ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সময়ে এই প্রকল্পে মোট খরচে ৫৪% বিজ্ঞাপনে খরচ করা হয়েছে।

মোদীর স্বপ্নের 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পে সিংহভাগ খরচ বিজ্ঞাপনে! পড়াশোনা কোথায়?

২০১৪-১৫ থেকে ২০২১-২২, পর্যন্ত সময়ে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পে খরচ করা হয়েছে ৭৪০.১৮ কোটি টাকা। তারমধ্যে বিজ্ঞাপনের খাতে খরচ করা হয়েছে ৪০১.০৪ কোটি টাকা। বেটি বাঁচাও বেটি প়ড়াও প্রকল্পের মাধ্যমে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে সচেতনতা প্রচার চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্মৃতি ইরানি। অপরদিকে সংসদীয় কমিটির ঐ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও‘ প্রকল্পের প্রচারের গুরুত্ব বুঝতে পারছে কমিটি।

মোদীর স্বপ্নের 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পে সিংহভাগ খরচ বিজ্ঞাপনে! পড়াশোনা কোথায়?

একই সঙ্গে কমিটি মনে করে যে, প্রকল্পের মূল লক্ষ্যের সঙ্গে প্রচারের খরচের ভারসাম্য রক্ষা করা প্রয়োজন।’ উল্লেখ্য, বাংলায় মেয়েদের স্কুলছুট আটকাতে ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৩ সালে যে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেছেন, তা সমাদৃত হয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরেও।

মোদীর স্বপ্নের 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পে সিংহভাগ খরচ বিজ্ঞাপনে! পড়াশোনা কোথায়?

মোদীর স্বপ্নের ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পে সিংহভাগ খরচ বিজ্ঞাপনে! পড়াশোনা কোথায়?

বাজেটও কেন্দ্রের তুলনায় অনেক বেশি রাজ্যের এই প্রকল্পের। মমতা বরাবরই বলে এসেছেন যে, কেন্দ্রের ‘বেটি বাঁচাও’ প্রকল্পের চেয়ে তাঁর কন্যাশ্রী কাজের ক্ষেত্রে অনেক বেশি উপযোগী। সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট যেন মমতার ওই দাবিতেই সিলমোহর দিল।