নজরবন্দি ব্যুরোঃ ত্রান থেকে টীকা, খরচ সামলাতে রাজ্যের বকেয়া চেয়ে অমিতের চিঠি সীতারামনকে। একে করোনায় রক্ষে নেই তার দোসর হয়ে কিছুদিন আগেই রাজ্যে হানা দিয়েছে সাইক্লোন ইয়াস। যার জেরে রাজ্যের কোষাগারের হাঁসফাঁস অবস্থা। একদিকে ভ্যাকসিনের দাম অন্যদিকে ত্রানের ব্যবস্থা দুই সাঁড়াশি চাপে নাজেহাল রাজ্য। এমন অবস্থায় রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া চেয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি পাঠালেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
আরও পড়ুনঃ অপেক্ষা সুপ্রিমোর গ্রিণ সিগন্যালের, কেরলে কংগ্রেস ভেঙে তৈরি হচ্ছে তৃণমূল!
শুক্রবার চিঠি দিয়ে অমিত মিত্র প্রশ্ন করেন, করোনা আবহে ২০২০-এর এপ্রিল থেকে ২০২১-এর জানুয়ারি এই ১০ মাস ধরে রাজ্যের পাওনা টাকা আটকে রয়েছে। রাজ্যে গতবছর এই সময়েই আমফান ঘটে। আর এবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। যার ফলে একদিকে করোনা, অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বেশ কিছু সমস্যায় নাকাল হতে রাজ্য সরকারকে। কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের পাওনা ৪ হাজার ৯১১ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। রই সঙ্গে জিএসটির ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সময়সীমা যাতে আরও ৫ বছর বাড়িয়ে দেওয়া হয় তাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন অমিত মিত্র।
জিএসটি লাগু হবার পর ক্ষতিপূরণের বিষয়টি ৫ বছরে স্থিতিশীল হয়নি। তাই ২০২২ সালের জুলাই মাসের পর আরও অন্তত পাঁচ বছর জিএসটি ক্ষতিপূরণের সময়সীমা বাড়ানো হোক বলে দাবি করেছেন তিনি। চিঠিতে অমিত মিত্র এও জানিয়েছেন, রাজ্যগুলিকে বিনা শর্তে জিডিপির-৫ শতাংশ ঋণ দেওয়া হোক। ঋণের কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন ‘যশ’-এর ধাক্কায় ত্রাণ-কাজে ও একাধিক জেলাকে সাজাতে অনেক অর্থের প্রয়োজন।
ত্রান থেকে টীকা, খরচ সামলাতে রাজ্যের বকেয়া চেয়ে অমিতের চিঠি সীতারামনকে। এছাড়াও রাজ্য টিকা কেনায় বাড়তি খরচ হচ্ছে যার ফলে রাজ্যের বাজেটে টান পড়ছে, এই ঋণ সেই কাজে লাগানো হবে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন স্যানিটাইজারের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি কেন? এটা এখন অত্যাবশকীয় পণ্য, সেই জিএসটি লাঘবের জন্যও চিঠিতে নির্মলা সীতারমণকে আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। এখন দেখার চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কি ব্যবস্থা নেন সীতারমন।