Will Vikram and Pragyan wake up again?

নজরবন্দি ব্যুরোঃ আগামী ২২ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার চাঁদে সূর্যোদয় হবে। অর্থাৎ আর মাত্র ৪৮ ঘন্টা পরেই। এই মুহূর্তে চাঁদের বুকে রাত চলছে। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান। কিন্তু, চাঁদে ভোর ফুটলেই কি আবার জেগে উঠবে বিক্রম-প্রজ্ঞান? কী বলছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো? আসুন জেনে নেওয়া যাক!

আরও পড়ুনঃ ঘুমন্ত বিক্রমকে দেখতে ঠিক কেমন লাগে? চন্দ্রযান-২-এর অরবিটার কিন্তু সব খবর রাখে!

২৩শে অগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল্ভাবে অবতরণ করে ল্যান্ডার বিক্রম। তারপর তার গর্ভ থেকে বেরিয়ে আসে প্রজ্ঞান। সূর্যের আলোর সাহায্যে ১৪ দিন ধরে চাঁদে অনেকগুলি অনুসন্ধান চালিয়েছে প্রজ্ঞান। ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান তাঁদের সঙ্গে থাকা পোলেডের মাধ্যমে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। প্রথমত, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটির উষ্ণতা। দ্বিতীয়ত, চাঁদে কী কী খনিজ উপলব্ধ। তৃতীয়ত, চাঁদে ভূমিকম্প হয় কিনা। এই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে বিক্রম এবং প্রজ্ঞান। এরপর ধীরে ধীরে চাঁদে নেমে আসে রাত। কার্যকারিতা হারায় বিক্রম ও প্রজ্ঞান। ইসরোর তরফে দু’জনকেই ‘স্লিপ মোড’-এ পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আর ৪৮ ঘন্টা পর চাঁদে সূর্যোদয়, জেগে উঠবে বিক্রম-প্রজ্ঞান! কী বলছে ISRO?

তবে ঘুম পাড়িয়ে দিলেও ইসরো কিন্তু আগেই জানিয়েছিল, প্রজ্ঞানের ব্যাটারিতে সম্পূর্ণ চার্জ রয়েছে। এমনকি, প্রজ্ঞানের সোলার প্যানেলকে এমন ভাবে স্থাপন করা হয়েছে যাতে সূর্য উঠলেই ওই প্যানেলে আলো পড়ে। আর তাই যদি হয়, তাহলে প্রজ্ঞান ও বিক্রমকে আবার জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করবে ইসরো। সেক্ষেত্রে সফলতা এলে কিন্তু আবারও ইতিহাস গড়বে ভারত এবং নতুন করে পরবর্তী ১৪ দিন ফের অনুসন্ধান চালাতে পারবে প্রজ্ঞান।

আর ৪৮ ঘন্টা পর চাঁদে সূর্যোদয়, জেগে উঠবে বিক্রম-প্রজ্ঞান! কী বলছে ISRO?

তবে, চাঁদে রাত নামার পর তাপমাত্রা হিমাঙ্কের এতটাই নীচে নেমে যায় যে সেখানে কোনও যন্ত্রের কাছেই তাঁর কার্যকারিতা শক্তি ধরে রাখাটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। এখন কী হয় তা জানতে উৎসুক গোটা দেশবাসী। নজর রাখছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। সব কিছুই ধীরে ধীরে জানা যাবে, অপেক্ষা আর মাত্র দু’দিনের।

আর ৪৮ ঘন্টা পর চাঁদে সূর্যোদয়, জেগে উঠবে বিক্রম-প্রজ্ঞান! কী বলছে ISRO?

চাঁদে অনুসন্ধান চালিয়ে প্রজ্ঞান জানিয়েছিল, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটির ওপরিতলের উষ্ণতা ৪০ ডিগ্রি। অথচ মাটির মাত্র ২০সেমি গভীরে গেলে সেই তাপমাত্রা এসে দাঁড়ায় মাইনাস ১০ ডিগ্রি। এছাড়া চাঁদে সালফার, অ্যালুমনিয়াম, ক্যালশিয়াম, লোহা, ক্রোমিয়াম, টাইটেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন এবং অক্সিজেনের মতো খনিজের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি, চাঁদেও যে ভূমিকম্প হয় অর্থাৎ সেই ‘মুনকোয়েক’-এর প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। আর এই সব কিছুই সম্ভব হয়েছে রম্ভা, ইলসা, চ্যাস্টে পোলেডের সাহায্যে।

আর ৪৮ ঘন্টা পর চাঁদে সূর্যোদয়, জেগে উঠবে বিক্রম-প্রজ্ঞান! কী বলছে ISRO?
আর ৪৮ ঘন্টা পর চাঁদে সূর্যোদয়, জেগে উঠবে বিক্রম-প্রজ্ঞান! কী বলছে ISRO?