বর্ষ শেষের ক’টা দিনে রাজ্যজুড়ে শীতের দাপট স্পষ্ট। দক্ষিণবঙ্গের আকাশ পরিষ্কার থাকলেও রাত-ভোরে ঠান্ডা আরও অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী সোমবার পর্যন্ত এই শীতের পরিস্থিতি বজায় থাকবে। এরপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা সামান্য ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে।
কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকা
আজ সকালে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৯° সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ০.৯° কম। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২১.২°, স্বাভাবিকের থেকে ৪.৪° কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৫৪–৮৮%।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় শহরে তাপমাত্রা ১৩–২২°-এর মধ্যে থাকার সম্ভাবনা। ভোরে হালকা কুয়াশা, পরে পরিষ্কার আকাশ। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
দক্ষিণবঙ্গ: পশ্চিমের জেলায় শীত বেশি
দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই পারদ ৮° সেলসিয়াসের কাছাকাছি। আগামী কয়েক দিনে এই জেলাগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭–১০°-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করতে পারে। উপকূলীয় জেলায় রাতের তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি, ১১–১৪° থাকার ইঙ্গিত।
উত্তরবঙ্গ: কুয়াশার সতর্কতা
উত্তরবঙ্গে শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশার প্রভাব স্পষ্ট। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা জারি। কালিম্পং, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায়ও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা হতে পারে।
কিছু এলাকায় ভোরের দিকে দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের নিচে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কাটবে, আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে পরিষ্কার থাকবে।
নববর্ষে কী বদল আসছে?
আবহাওয়া দফতরের ইঙ্গিত, ৩১ ডিসেম্বর থেকে পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে। বড়সড় পরিবর্তন নয়—নতুন বছরের শুরুতে ২–৩° পর্যন্ত উষ্ণতা বাড়ার সম্ভাবনা। অর্থাৎ শীত থাকবে, তবে তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে।


পরামর্শ: ভোরের কুয়াশা মাথায় রেখে ভ্রমণ ও আউটিংয়ের পরিকল্পনা করুন। পশ্চিমের জেলায় রাতের ঠান্ডার জন্য বাড়তি শীতবস্ত্র রাখুন।









